আগামীকাল মহা শিবরাত্রি। গোটা ভারতবর্ষ কাল ভোলানাথের আরাধনায় মাতবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহা শিবরাত্রি এক অন্যতম পূণ্য আরাধনা। শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় শিবরাত্রি। আর ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী তিথিতে উদযাপিত হয় মহা শিবরাত্রি।
এই বিশেষ দিনে ধুমধাম করে শিবের আরাধনা হয়। বেল, ফল, আকন্দ, মিষ্টি, দুধের সমাহারে পুজো হয় বাবার। বাবার মাথায় জল ঢালার জন্য সকাল থেকে ভিড় থাকে নারীদের। তবে শুধুমাত্র নারীরাই নন পুরুষরাও সমানভাবে বাবার আরাধনা করতে পারেন মহা শিবরাত্রিতে। যদিও চলতি কোথায় শিবের মতো বর পাওয়ার জন্যই নাকি নারীরা শিবরাত্রির আরাধনা করে থাকেন!
জানেন কি কেন ফাল্গুন মাসে মহা শিবরাত্রির আয়োজন হয়? অনেকে বলে থাকেন এই বিশেষ তিথিতেই নাকি লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহাদেব। আবার অনেকের মতে এই ফাল্গুনেই নাকি পার্বতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল শিবের! যে কারণে ফাল্গুন মাসের বিশেষ তিথিতে মহাশিবরাত্রির উদযাপন হয়। সেই জন্যই মহা শিবরাত্রি ব্রত পালন করে শিবের মতো বর পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করেন মেয়েরা।
পুরাণ অনুযায়ী, মহাদেবকে বর হিসাবে লাভ করার জন্য দীর্ঘ তপস্যা, ও বহু বছরের সাধনা দীর্ঘ বহু বছর কঠিন তপস্যা করেন দেবী পার্বতী। দেবীর ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, তপস্যায় মাথা নত করেন মহাদেব। বিশ্বাস করা হয় এই দিনে উপোস করে সঠিকভাবে শুদ্ধ মনে ব্রত পালন করলে মনের মতো সঙ্গী পাওয়া যায়।