রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় কমল আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত। কখন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, কখনও আবার কমছে। তবে, আগের থেকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেটাও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও।   

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬৭ জন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংক্রমণের নিরিখে এদিন প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ কমেছে। গতকাল এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ জন। এই জেলায় গতকালের থেকে কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৩ জন। বাকি সব জেলা থেকেই গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের খবর এসেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, ২০ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯৪ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও সামান্য মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। গতকাল রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকা্কাতাগত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। এনিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ১০৭ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ হাজার ৩৪৬ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এটা সবথেকে বড় স্বস্তির। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ১৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৫১ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৩৬ জন।