বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মর্মান্তিক পরিণতি যমজ ভাইয়ের। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বছর ৫০-এর তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গরিফা স্টেশন চত্বরে উদ্ধার হল আরেক ভাই অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। একই সঙ্গে দুই যমজ ভাইয়ের এরকম রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এই ঘটনাটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, এলাকা সূত্রে খবর, দুই ভাই ফ্লেক্স প্রিন্টিংয়ের কাজ করতেন। মানসিক অবসাদের জেরে এই ঘটনা কিনা, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও এলাকাবাসী এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছুই জানাতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে দাবি কড়া হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা তরুণবাবুর দেখা পাচ্ছিলেন না। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। কোনও সাড়া না পেয়ে অবশেষে জানলার ফাঁক দিয়ে একজন দেখতে পান, ভিতরে একটা দেহ ঝুলছে। এরপরই দরজা খুলে ঘরের ভিতর থেকে তরুণবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আবার সেই সময় থেকেই খোঁজ মিলছিল না তরুণবাবুর ভাই অরুণেরও। বাড়ি কাছাকাছি চত্বরে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। এর বেশ কিছুক্ষণ পর, খবর আসে যে, গরিফা স্টেশনের পাশে একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলেছে। জানা যায়, সেটিই তরুণবাবুর ভাই অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে, এটিও আত্মহত্যার ঘটনা কিনা, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
দুই ভাইয়ের এই ‘রহস্যমৃত্যু’কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ব্যান্ডেল জিআরপি এবং নৈহাটি থানার পুলিশ আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :