বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরুপাচার মামলায় ফের একবার হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই নিয়ে গরু পাচার মামলায় দ্বিতীয়বার সিবিআই-য়ের হাজিরা এড়ালেন তিনি।
এদিকে, এদিন তিনি নিজে না এলেও, তাঁর হয়ে নিজাম প্যালেসে এলেন আইনজীবী। এর আগেও সিবিআই- এর পক্ষ থেকে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদালতের কাছে সময় চেয়েছিলেন। পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি গরু পাচার মামলায় প্রথম হাজিরা এড়িয়ে যান।
একইভাবেই এদিনও এড়ালেন হাজিরা। গরুপাচার মামলায় চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিনও হাজিরা এড়িয়েছিলেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের একবার হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান তাঁর আইনজীবী। সূত্রের খবর, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে বেশ কিছু প্রশ্ন করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই নিয়ে মোট তিনবার অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব করল।
এর আগে জানুয়ারি মাসে অনুব্রতকে ডেকেছিল সিবিআই। তখন অবশ্য গরুপাচার নয়। একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সময় সিবিআই-এর এই পদক্ষেপ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। পাশাপাশি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন।
এরপর আদালত তাঁকে রক্ষকবচ দেয়। আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, অনুব্রতকে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা যাবে না। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়াও যাবে না। কিন্তু তদন্তকারীদের সব পরিস্থিতিতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনুব্রত। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সাময়িক স্বস্তি পেলেও, গুরুপাচার মামলায় তাঁকে ফের তলব করল সিবিআই।
আপনার মতামত লিখুন :