বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিল শেষ হওয়ার পর সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সভাতেই ঘটল বিপত্তি। তৃণমূলের এই সভাতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়েছেন তিনি। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটল সভা শেষের মুহূর্তে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার মুহূর্তে সবাই জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন। সেই সময় মাইক ছিল সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর রিনা দাসের হাতে। আর তিনিই গাইলেন ভুল জাতীয় সঙ্গীত। এদিকে সেই মুহূর্তের ভিডিও সামনে আসতেই সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয় ভিডিও। নেট নাগরিকদের কটাক্ষের শিকার হলেন উক্ত তৃণমূল নেত্রী তথা সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর।
লাগাতার পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি পাশাপাশি রান্নার গ্যাস এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে মঙ্গলবার কাঁথি শহরে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি ভবতারিনী মন্দির প্রাঙ্গন থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল হয়। পরে, শহর ঘুরে বড় ডাকঘরের সামনে পথসভা করে রাজ্যের শাসকদল। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি-সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব। এই সভাতেই জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
উক্ত সভা শেষ হওয়ার পর, জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেন রিনা দাস, সেই জাতীয় সঙ্গীত ছিল অজস্র ভুলে ভরা। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত জানিয়েছেন, ‘আজকের এই সভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।’ উল্লেখ্য, যে তৃণমূল কাউন্সিলর এই ভুল করেছেন, সেই রিনা দাস এবার পুরভোটে কাঁথির ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি শুধু তৃণমূল কাউন্সিলরই নন, পেশায় একজন পার্শ্বশিক্ষক এবং কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলও। কাজেই তাঁর এই ধরনের ভুলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রিনা দাস। নিজের ভুল বুঝতে পেরেই তিনি মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান।
এদিকে, মুহূর্তের মধ্যেই ওই গানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘শেখার শেষ নেই। এই বয়সেও জাতীয় সঙ্গীত শেখা উচিৎ।’ আবার কেউ বলছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীতটাও জানা নেই!’
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি জানিয়েছেন যে, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। একজন ভারতীয় হিসেবে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা কোনও ভাবেই মানা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘উনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। মানুষ মাত্রেই ভুল হয়, তবুও একজন শিক্ষিকা হিসেবে সচেতন থাকা উচিত ছিল। জন প্রতিনিধিরা এমন বড় ভুল করলে কী করে চলবে! আগামিদিনে আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুল কোনও দিন না হয়। আমরা ক্ষমা প্রার্থী জনগণের কাছে এই ভুলের জন্য।’ এখন এটাই দেখার যে, এর রেশ কতদূর যায়।
আপনার মতামত লিখুন :