বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ সকাল সকাল ফের বোলপুরে হানা দেয় সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বুধবার সাত সকালেই বোলপুরের ৪ জায়গায় তল্লাশির উদ্দেশ্যে যায় সিবিআই-এর আধিকারিকেরা। এদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর তথা অনুব্রতর একেবারে ছায়াসঙ্গী বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু-র বারিতে তল্লাশি অভিজান চালায় সিবিআই। আজ সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চার জন সিবিআই আধিকারিক জান। কাউন্সিলরের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রিয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপরই তাঁকে আটক করা হয়।
ইতিমধ্যেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে নিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের অফিসে। শোনা যাচ্ছে, কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর নামের সম্পত্তিগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তারপর কাউন্সিলরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে? পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেবে সিবিআই, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে, এই আটক প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তদন্তকারি আধিকারিকরা।
বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। কেষ্ট ঘনিষ্ঠ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত তিনি। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি, পাশাপাশি চলতে থাকে জেরা। তদন্তকারীদের অনুমান, অনুব্রতকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারের পর যে ১৭ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টও। অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের টাকা ওই কাউন্সিলরের নামে রাখতেন বলে কনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে থাকার পর কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে বের হন তদন্তকারীরা। গাড়িতে করে রওনা দেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের অফিসে।
এদিকে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আটক করা হয়েছে বিশ্বজ্যোতিকে। তবে এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা এখনও মুখ খোলেননি। সুত্রের খবর, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের অফিসে বসে তৃণমূল কাউন্সিলরের আয়- ব্যায়ের হিসেব খতিয়ে দেখা হবে। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সিবিআই ক্যাম্পে। তবে, এখন সবটাই অনুমানের উপর নির্ভর করছে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে এর পরে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে? সেদিকেই নজর সকলের।
উল্লেখ্য, এদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ যে মোট ৪ জনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা, তাঁর মধ্যে রয়েছেন সুদীপ রায়, দোলনকুমার দেও। এর পাশাপাশি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টট্যান্ট মনীশ কোঠারির বাড়িতেও যায় সিবিআই। সকাল থেকেই শুরু চলছে জেরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতাদের জেরা করলে, গরু পাচার মামলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :