১১ ই ডিসেম্বর রাজ্য জুড়ে হতে চলেছে প্রাথমিক টেট। কিন্তু তার আগেই আবেদনপত্র পূরণের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হলো সেই সময়সীমা। আজ সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আরও এক সপ্তাহ বেশি সময় দেওয়া হল আবেদনকারীদের।
ছয় বছর পর রাজ্যে হতে চলেছে টেট। ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষের বেশি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এর আগে যে বছর টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেই বছর সংখ্যা ছিল মাত্র ২ লক্ষ। তাই প্রায় ছয় বছর পর টেট পরীক্ষা হওয়ায় এবার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা যে অনেকটাই বেশি তার স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে আবেদনকারীদের সংখ্যা দেখে। সে কারণেই ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার আগে ফের এক সপ্তাহ আবেদনের জন্য বাড়ানো হলো সময়সীমা।
১১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। এই পরীক্ষার জন্য গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে পর্ষদ। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার হলে পৌঁছতে হবে প্রার্থীদের। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলে প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সঙ্গে রাখা যাবে না মোবাইল ফোন, ব্লু টুথ, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, পেজার বা হেল্থ ব্যান্ড।
জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই এডমিট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তার আগে যাবতীয় নিরাপত্তার দিকে করা নিয়ম আনতে চলেছে পর্ষদ। তবে শুধু বিশৃঙ্খলা নয়, পরীক্ষার নিয়ম কানুন না মানলেও তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গেছে, যাবতীয় নিয়ম কানুনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এডমিট কার্ডে।
এদিকে প্রশ্নপত্রের দিকেও কড়া সতর্কতা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রে খবর, পরীক্ষা শুরুর আগে কোনভাবেই প্রশ্নপত্র খোলার সুযোগ থাকবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরাই প্রশ্নপত্র খুলতে পারবেন। এই কারণে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা করে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। এরপর প্রশ্নপত্রে উত্তর দিয়ে পরীক্ষার্থীরাই তা সিল করে জমা দিয়ে দেবেন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থী ছাড়া তার প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র অপরকেও দেখতে পাবে না বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে, যেভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক অভাব অভিযোগ উঠেছে পূর্বে সেই সবকিছু থেকে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে শুধু প্রশ্নপত্র নিয়েই নয়, পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা নিয়েও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স, ফেস স্ক্যান, সই স্ক্যানের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা থাকছে।
আপনার মতামত লিখুন :