বাঁশির সুরে মন মাতানোর কথা অনেকেই জানেন। কেউ কেউ গাছের পাতাকে বাঁশি বানিয়ে অসাধারণ সুর দেন। তবে বাঁশি ছাড়াই শুধুমাত্র শিসের মাধ্যমে সুর তুলেও যে শ্রোতাদের মন জয় করা যায়, সেই বিষয়টিও হয়তো অনেকের কাছেই পরিচিত। আঙুলের সাহায্যে সিটি বাজানোকে অনেকে কুনজরে দেখলেও শুধু ঠোঁটের সাহায্যে শিস দেওয়া শুনতে বেশ পছন্দই করেন সকলে। বিশেষ করে শিস দিয়ে গানের সুরের বেশ কদর রয়েছে শ্রোতাদের কাছে।
শিস দেওয়াও যে একপ্রকার শিল্পকর্ম, তা মানেন অনেকেই। হিন্দি হোক বা বাংলা সিনেমা জগৎ, আজও বহু ক্ষেত্রে শিস দিয়ে গান বহুল প্রচলিত। তবে বিষয়টি শুনতে যতটা সহজ, করা কিন্তু তত সহজ নয়৷ যথেষ্ট তালিম এবং অনুশীলনের কাজ। আর সেই কাহিনীই শোনালেন বাংলার এক শিস শিল্পী অসীম মহলদার।
নদীয়ার ফুলিয়া টাউনশিপের অন্তর্গত জীবনানন্দ কলোনির বাসিন্দা অসীমবাবু পেশার একজন মুদি দোকানকার। প্রতিদিন মুদি দোকান চালিয়ে চলে তাঁর সংসার। কিন্তু তার পাশাপাশিই শিস দিয়ে গান করে শ্রোতাদের মন ভরিয়ে চলেছেন তিনি। বিভিন্ন ক্লাব ব্যান্ডের গান-বাজনার সঙ্গে তাঁর শিসের মেলবন্ধন ওই এলাকার অনেকের কাছেই পরিচিত। অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীদের মতো শিস দিয়ে বহু অনুষ্ঠানে গানও করেছেন অসীম বাবু। ছোট মুদিখানা দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও শিস দিয়ে গান তাঁর নেশা। তাই সেই নেশার টানেই চলে তাঁর সুর-সাধনা।
অসীম বাবুর ইচ্ছা আগামীতে, কীভাবে শিস দিয়ে সুর তোলা হয় তা শেখানোর স্কুল খুলতে। তার মাঝে নিজেও চান আরও শিখতে। প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যে থাকলে শিল্প উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা যায় বলেই মনে করেন তিনি৷ তাই এই বিষয়ে প্রচুর পড়াশোনা বা চিন্তাভাবনা চালিয়ে যেতে চান বাংলার এই শিস শিল্পী।
আপনার মতামত লিখুন :