দুই মহারথীর আজ হাইভোল্টেজ সভা! কোন ইস্যুতে হবে আক্রমণ? তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল

ভোটের আগে কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে আজ ফের শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিতে সভা করতে চলেছেন অভিষেক৷ এদের সভা থেকে বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে অভিষেক কি বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে ভোটার রাজনৈতিক মহল।

ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরসভার নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুনাল ঘোষকে। দফায় দফায় সেই জেলায় গিয়ে জনসংযোগে মন দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। এবার সেখানে হাই ভোল্টেজ সভা করতে চলেছেন অভিষেক। তাই শুভেন্দু অধিকারীর ডেরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আজকের সভা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলার গ্রামের মানুষের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে রাজ্যজুড়ে ‘চলো, গ্রামে যাই’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল৷ গোটা রাজ্যজুড়েই একাধিক কর্মসূচি রয়েছে৷ কিন্তু ভোটের প্রচারের শুরুটা পূর্ব মেদিনীপুরে করার মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল৷ একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই অভিষেকের সভা আসলে সেই সমানে সমানে লড়াইয়েরই বার্তা৷

অন্যদিকে, আজ একদিকে যখন শান্তি কুঞ্জের কিছুটা দূরে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই অভিষেকের গড় অর্থাৎ তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির হয়ে সুর চরাবেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর এই সভায় অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে লাইট হাউস মাঠেই সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

আদালতের তরফে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ডায়মন্ড হারবারে লাইটহাউস মাঠেই সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনোভাবেই অসুবিধা না হয় সে কথা মাথায় রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পুলিশ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে বলে এদিন মামলা কারীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সভা করায় আর কোন জটিলতা রইল না।

প্রসঙ্গত,ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হল। ফলে, শুভেন্দুর সভা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা কেটে গেল।শনিবার দুই শিবিরের সেনাপতির সভা ঘিরে সরগরম হতে চলেছে রাজনীতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুভেন্দু, অভিষেক দুজনের বিপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানাবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এককথায় বলা যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কাল রাজ্যে পলিটিক্যাল ডার্বি ।