শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

জামাইকে ঘরে ফেরাতে শাশুড়ির কীর্তিতে হতবাক প্রতিবেশীরা! ধরা পড়তেই চলল গণপ্রহার

মৌসুমী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম

জামাইকে ঘরে ফেরাতে শাশুড়ির কীর্তিতে হতবাক প্রতিবেশীরা! ধরা পড়তেই চলল গণপ্রহার
জামাইকে ঘরে ফেরাতে শাশুড়ির কীর্তিতে হতবাক প্রতিবেশীরা! ধরা পড়তেই চলল গণপ্রহার

দীর্ঘদিন থেকেই নিখোঁজ জামাই। এবার সেই জামাইকে ফেরাতে গিয়েই প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়লেন দুই মহিলা। তারপরেই কপালে জুটলো বেদম মার। বিষয়টা একটু খটমট লাগছে? তাহলে খুলে বলা যাক আসল বিষয়টি।

ঝুমা দাস, বয়স ৪৫। অপরদিকে আরও এক মহিলা অঞ্জলি দাস বয়স ৪৪। এরা সম্পর্কে দুই বোন। যুয়ান মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে খোকন দাস নামে এক ব্যক্তির। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিগত দু‍‍`বছর ধরে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন জামাই খোকন দাস। এরপরেই জামাইকে ফিরে পেতে গুনিন ওঝা, তান্ত্রিক সকলেরই দ্বারস্থ হয়েছেন ঝুমা দাস এবং তার বোন অঞ্জলি দেবী।

এরপর জানা যায় সুজাপুর এলাকার এক গুনিন তাকে নিদান দেন, প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের এলাকার তিন মাথার মোড়ে লাল কাপড়, কখনো জবা ফুল বা মিষ্টি আবার কখনো কাপড়ে মোরা সুপারি ও ধূপকাঠি রাখতে হবে। তাহলেই নাকি ফিরে আসবেন তার জামাই। এই কথা শোনা মাত্রই তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে থাকেন দুই বোন।

এদিকে এলাকাবাসীদের অভিযোগ ওই দুই মহিলার এই কীর্তির পর থেকেই পাড়ায় একের পর এক অঘটন ঘটছিল। তাই প্রতিবেশীরাও ফাঁস পেতে ছিলেন কারা এই ঘটনা ঘটায় তা দেখার জন্য। এরপর প্রতিবেশীদের পাতা ফাঁদেই পা দিলেন ওই দুই মহিলা। হাতে না হাতে ধরাও পড়লেন। এরপরেই চলল গণপ্রহার। অবশেষে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই দুই মহিলাকে। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছি গোটা বিষয়টি একটি কুসংস্কার। ইতিমধ্যেই ওই দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা লিখিত অভিযোগ করলে সেক্ষেত্রে গুনিনের খোঁজ চালানো হবে এবং প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।