শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কাটমানি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে! বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০১:০১ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০৭:০১ পিএম

কাটমানি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে! বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ
কাটমানি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে! বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঠিকাদারি কাজে পুলিশ ও প্রশাসন কাটমানি নেয় কিনা, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ওসি। কাটমানির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্কিত মন্তব্য করায় এবার বিপাকে মুর্শিদাবাদের সেই বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন। বড়ঞা থানার ওসিকে শোকজ করলেন মুর্শিদাবাদের এসপি। পাশাপাশি তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। এদিকে, তবে ঠিক কী বিষয়ে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সাহোরা গ্রাম পঞ্চায়েত। তালবোনা শ্মশানকালী পুজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সোমবার রাতে উপস্থিত ছিলেন বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন। অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীরা তাঁকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর হাতে মাইক নিয়েই কেন গ্রামের উন্নয়ন হচ্ছে না, তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন সন্দীপ সেন। তখনই তিনি ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ওসি সন্দীপ সেন বলেন, ‘১০০ টাকার মধ্যে প্রথমেই ৪০ টাকা লেস করে কাজ ধরতে হয় ঠিকাকর্মীকে। তারপর তাকে লাভ করতে হয় ২০ টাকা। তাহলে দাঁড়াল ৬০ টাকা। ব্লক অফিসকে দিতে হয় ৪ টাকা। তাহলে দাঁড়াল ৬৪ টাকা। ৫ টাকা দিতে হত আগের ওসিদের অর্থাৎ পুলিশকে। এছাড়াও ৫ টাকা দিতে হয় শেয়ালের বাচ্চাদের। সবশুদ্ধ ঠিকা কর্মী দিতেই চলে যায় ১০০ টাকায় ৭৫ টাকা। ২৫ টাকায় কী কাজ হবে, আপনারাই বুঝুন।’ এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামবাসীদের সামনে ওসি সন্দীপ সেন আরও বলেন, ‘আমি সব বন্ধ করে দিয়েছি। জীবনকে (জীবনকৃষ্ণ সাহা বিধায়ক) বলেছি একটা কমিটি তৈরি করে দিতে।’

বড়ঞা থানার ওসির ওই মন্তব্যের ভিডিও দ্রুত গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। এদিকে, এই বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার কিছু বলতে চাননি। এর আগে ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসায় অবশ্য তিনি বলেছিলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ সত্যিই কয়েকদিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার। যদিও খবর, ইতিমধ্যেই শো কজের জবাব দিয়েছেন বড়ঞা থানার ওসি। তবে, এখনও এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

এদিকে, বড়ঞা থানার ওসির বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে, তেমন ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল প্রশাসনিক মহল থেকে। এর মধ্যে তৃণমূলের কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার দাবি করেছেন, ‘ওসি যে কাটমানি নেওয়ার কথা বলেছেন, তার প্রমাণ তাঁকে দিতে হবে।’ পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, ‘একজন ওসি তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করতে পারেন না। ওসি ব্লক প্রশাসনকেও হেয় করেছেন। হেয় করেছেন আমাদের সরকারকে।’