নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বিগত কিছুদিন ধরেই বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। বৃষ্টির অভাবে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে আমন ধানের চাষ। কবে বৃষ্টি হবে সেই আশাতেই এতদিন আকাশ পানে চেয়েছিলেন চাষিরা। আশঙ্কা ছিল অনাবৃষ্টিরও। আর সেই অনাবৃষ্টির চিন্তায় দেবরাজ ইন্দ্রের পুজোয় সামিল হলেন গ্রামবাসীরা।
বৃষ্টির অভাব পূরণ করতে এমনই এক অভিনব পুজোর সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান জেলার বোয়াইচণ্ডী গ্রাম। বছর পূর্বে চাষীদের প্রয়োজনে এই পুজো শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বৃষ্টির প্রার্থনায় ইন্দ্র দেবের আরাধনা শুরু করেন তাঁরা। যদিও পরবর্তী সময়ে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
১৪১০ বঙ্গাব্দে ফের মিলিতভাবে এই পুজো শুরু করেন গ্রামের আদিত্য মাঝি, মদন রায়, প্রভাকর মণ্ডল ও বিলে রায়। এঁদের মধ্যে আদিত্য মাঝি প্রয়াত হয়েছেন। তবে বাকি তিনজন এখনও জীবিত এবং পুজোর কাজে নিয়োজিত।
পুজোর দিন কৃষক সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ পুজোর স্থানে হাজির হয়ে ভক্তি করে পুজো দেন। বৃষ্টির আশায় ইন্দ্র দেবের কাছে প্রার্থনা জানান সকলে। বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব ভার রয়েছে পূজারী রত্নাকর রায়ের হাতে। এছাড়াও পুজোর কাজে নিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন, জ্যোতিষ শ্রী প্রেমানন্দ, চাঁদু রায়, কার্তিক মালাকার। পুজোয় ঢাক বাজানোর দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকি সুকুমার রুইদাস।
অন্যদিকে, এই বছর দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো উপলক্ষে বোয়াইচণ্ডী গ্রামের তিনজন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীকে সংবর্ধনাও জ্ঞাপন করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২০২১ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস পাঠরতা সুশান্তিকা কাড়ি, ২০২১ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস পাঠরতা সহেনি দত্ত এবং বিভিন্ন মৃত জীবজন্ত নিয়ে গবেষণা করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে খ্যাতি অর্জন করা তরুণ পাল। গ্রামের এই তিন কৃতিকে পুজোর অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :