সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে লাগাতার ধর্ষণ! শ্রীঘরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শোলাশিল্পী

মৌসুমী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৬:৩৫ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২২, ১২:৩৫ এএম

প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে লাগাতার ধর্ষণ! শ্রীঘরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শোলাশিল্পী
প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে লাগাতার ধর্ষণ! শ্রীঘরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শোলাশিল্পী

রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপক তিনি। এদিকে তার বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। তার জেনে গ্রেফতার হয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শোলাশিল্পী। কাজ শেখানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে লাগাতার ধর্ষণ করেছিলেন এক গৃহবধূকে। এমনকি নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি তুলে রেখেও তাকে ব্ল্যাকমেইল করতেন অভিযুক্ত আশিষ মালাকার এবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই। তাঁকে গ্রেফতার করলো কৈচর থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া মহকুমার বনকাপাশি গ্রামে।

জানা গিয়েছে, নিজের শিল্পগুন ও দক্ষতার জেরে সোলা শিল্পে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন কাটোয়া মহকুমার বনকাপাশি গ্রামের বাসিন্দা আশিষ মালাকার। মূলত তিনি যে গ্রামে থাকেন সেই গ্রাম শোলাগ্রাম নামে পরিচিত। সেখানেই সোনার কাজ করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন আশিষ। সেই কারণে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধেই গ্রামের এক মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠল।

অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি হস্তশিল্প প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের সোলার কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করার প্রচেষ্টা চলছে। সেই রকমই শোলাগ্রামের ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আশীষ কে। কিন্তু তিনি কাজ শেখাবার নাম করে এক মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও তুলে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বারংবার ওই মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।

এর পরে ঘটনা প্রকাশ্যে আসবেই তার পরিবার আশিষ মালাকারের বাড়ির ঘেরাও করে। ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশ কিছু মহিলাও যোগ দেন। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ওই শোলা শিল্পীকে মহিলারা জুতো দিয়ে মারধর করেন। চরাও হন অভিযুক্তদের বাড়িতে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছায় কৈচড় থানার পুলিশ। তাকে নিয়ে আসা হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। এরপর এই মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে আশীষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।