শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

মদ্যপ অবস্থায় ধারালো দায়ের কোপ! গুরুতর জখম স্ত্রী ও শ্বশুর, গ্রেফতার জামাই

চৈত্রী আদক | মলয় দে

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২, ০৯:২০ এএম | আপডেট: জুন ২৭, ২০২২, ০৩:২০ পিএম

মদ্যপ অবস্থায় ধারালো দায়ের কোপ! গুরুতর জখম স্ত্রী ও শ্বশুর, গ্রেফতার জামাই
মদ্যপ অবস্থায় ধারালো দায়ের কোপ! গুরুতর জখম স্ত্রী ও শ্বশুর, গ্রেফতার জামাই

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মদ্যপ অবস্থায় ধারালো দা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন জামাই। অভিযোগ, এরপরই প্রথমে শ্বশুরের মাথায় এবং পরবর্তীতে স্ত্রীর মাথায় দায়ের কোপ মারেন তিনি। গুরুতরভাবে জখম হন স্ত্রী ও শ্বশুর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত জামাইকে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অজয় বিশ্বাস। নদীয়ার শান্তিপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। এদিন মদ্যপ অবস্থায় বাইগাছি পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হয়ে স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস এবং শ্বশুর জগদীশ দে’র মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপ মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসীরা। অভিযোগ, শ্যালিকা মামনি দাস‌ পুলিশে খবর দিতে গেলে তাঁকেও ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হন অজয় বিশ্বাস। তাঁর ছেলের তৎপরতায় কোনওরকমে বেঁচে যান মামনি। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করে মদ্যপ যুবককে‌। আহতদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালেও যান পুলিশ। জানা গিয়েছে, নমিতা বিশ্বাসের মাথায় সাতটি সেলাই ও জগদীশ দে’র মাথায় ন’টি সেলাই পড়েছে। প্রত্যেকেই অজয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা পরিবার। এদিন নমিতা বিশ্বাস জানান, “১৭ বছর মুখ বুজে সহ্য করেছি। পরিবারের অপমানের কথা ভেবে তবে এবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” অন্যদিকে শ্যালিকা মামনি বিশ্বাস বলেন, “বেশ কয়েক বছর আগে নিজের একমাত্র ছেলেকেও কোপ মেরেছিল। মদ খেয়ে অত্যাচার করে গোটা পরিবারের উপর। অভিভাবক দাদা বাড়ি থাকলে সাহস পায় না। তিনি ব্যবসার কাজে আসাম যেতে‌ আবারও মদ্যপান করে অত্যাচার শুরু হয়েছে।”

অন্যদিকে বৃদ্ধ শ্বশুর জগদীশ দে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। তিনি বলেন “দুই মেয়ের দুই ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছে।” জামাই অজয় বিশ্বাস আপাতত শ্রীঘরে থাকলেও দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জনের জবানবন্দি এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।