শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন কারা? ১৫ দফা গাইডলাইন জারি করে জানাল নবান্ন

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ১১:৩৩ পিএম

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন কারা? ১৫ দফা গাইডলাইন জারি করে জানাল নবান্ন
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন কারা? ১৫ দফা গাইডলাইন জারি করে জানাল নবান্ন

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় প্রত্যেকে পাবেন মাথার উপর ছাদ। কেন্দ্র সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক অনুমোদনের ফলে যে রাজ্যের বহু দুঃস্থ দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কাদের কাদের দেওয়া হবে বাড়ি? এবার ১৫ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করে জানিয়ে দিল নবান্ন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে অতীতে একাধিকবার অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। সেই সকল অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই এবার এই প্রকল্প নিয়ে নড়েচড়ে বসল নবান্ন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই আবাস প্লাস নামে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। সেই তথ্যভাণ্ডারে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এই তথ্যভাণ্ডার থেকেই অগ্রাধিকার হিসাবে বেছে নেওয়া হবে তারা এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পাবেন। 

এই তথ্য ভান্ডার এবং নতুন করে বাড়ি দেওয়ার আগে একাধিক বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সকল তথ্য যাচাই করার জন্য জেলাশাসক, বিডিও এবং মহকুমা শাসকদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে করে কোথাও কোন রকম খামতি না থাকে।

নবান্ন-র তরফে যে ১৫ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী বাড়ি দেওয়ার আগে দেখা হবে যারা এই প্রকল্পের বাড়ি পাচ্ছেন তাদের বা তাদের পরিবারের যেন কারো মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকার বেশি না হয়। এছাড়াও যাদের কেউ সরকারি চাকরি করেন অথবা আয়কর বা বৃত্তি কর দেন তাদের নামও বাদ যাবে।

এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি যাওয়ার আগে সার্ভে করে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন তাদের পরিবারের কারও পাকা বাড়ি রয়েছে কিনা বা এর আগে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলী বা এই ধরনের কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা। যদি তারা এই ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে আর এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন না।

পাশাপাশি যাদের ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড রয়েছে তারাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। যাদের যন্ত্র চালিত নৌকা, কৃষি সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ধরনের গাড়ি রয়েছে তাদের নামও বাদ যাবে।