অন্যান্য দিনের মতো সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। স্কুল থেকে ফিরে ছেলে দেখতে পেল বাড়িতে পড়ে রয়েছে মায়ের গলাকাটা দেহ। এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লী এলাকায়। এরপর ছেলের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুপ্রিয়া দত্ত। তার স্বামী দেবাশীষ দত্ত জেলা পরিষদে কর্মরত। এদিন সুপ্রিয়া দেবী সকালে ব্যাংকে গিয়েছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে একাই ছিলেন প্রতিদিনের মতোই অফিসে গিয়েছিলেন স্বামী এবং স্কুলে গিয়েছিল ছেলে। এরপরেই বিকেল বেলা স্কুল থেকে ফিরে ছেলে দেখে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে খাটে। ছেলের চিৎকারেই ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজি ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি সুপ্রিয়া দেবীর বাড়ির গলি পর্যন্ত ঢুকছে। এই ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের কোনো রকম সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
অন্যদিকে প্রতিবেশীদের দাবি, মহিলার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। প্রায়শই তার বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল ওই যুবকের। তবে কারোর কারোর অনুমান, হয়তো লুটপাটে বাঁধা দিতে গিয়েই হত্যা করা হয়েছে সুপ্রিয়া দেবী কে। লুটপাট এর উদ্দেশ্যে খুন নাকি ব্যক্তিগত কোনো কারণে খুন গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :