প্রেমিক প্রেমিকার জন্য বা স্বামী অথবা স্ত্রীকে খুঁজে পেতে ধর্নায় বসার কথা শোনা গিয়েছে বারবার। কিন্তু এবার সন্তানকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানায় গণপতিনগর গ্রামে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে নন্দকুমার থানার বেতকল্লা গ্রামের লাবনী মহাপাত্রর সঙ্গে তমলুক থানার গণপতিনগর গ্রামের পেশায় নৌ সেনা কর্মী হরেকৃষ্ণ সামন্তর বিয়ে হয়। এরপর চাকরির সূত্রে মুম্বাই পাড়ি দেন হরে কৃষ্ণ বাবু। সঙ্গে নিয়ে যান স্ত্রীকেও। কিন্তু সেখানে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয় দম্পতির মধ্যে। মূলত সন্তান নিয়ে মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে।
এরপর জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে যান হরে কৃষ্ণ বাবু। কিন্তু তাদের সন্তান ছোট ছেলেটি থেকে যায় বাবার কাছেই। পরে লাবনী জানতে পারেন যে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এবং কাগজপত্র নাকি তিনি না বুঝেই সই করে ফেলেছেন।
এরপর চাইলেও সন্তানকে লাবনী দেবীর কাছে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর মধ্যেই সন্তানকে নিতে গিয়ে তিনি দেখেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গত মার্চ মাসে পুলিশ নিয়ে মুম্বইতে গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই মহিলা। সেখানেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি ওই বাড়িতে ফিরেছেন তাঁর শ্বশুর। বাড়ির মধ্যেই রয়েছেন তিনি। সে কারণেই এই ধরনা।
এদিকে অভিযোগকারীনির বাবা জানাচ্ছেন, নাতিকে ফিরে পেতে ধরনায় বসেছেন তার মেয়ে। বিগত আট বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় তখন থেকে প্রায়ই অত্যাচার করত জামাই। স্থানীয় বাসিন্দারাও অবশ্য জানাচ্ছেন, পাড়ায় খুব একটা সুনাম নেই ওই পরিবারের
আপনার মতামত লিখুন :