শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

প্রেমের পথে বাধা মা! নববর্ষে মাকে খুন নাবালিকার, প্রেমিককে লেখা চ্যাটে কুকীর্তি ফাঁস

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২২, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২২, ১০:২২ পিএম

প্রেমের পথে বাধা মা! নববর্ষে মাকে খুন নাবালিকার, প্রেমিককে লেখা চ্যাটে কুকীর্তি ফাঁস
প্রেমের পথে বাধা মা! নববর্ষে মাকে খুন নাবালিকার, প্রেমিককে লেখা চ্যাটে কুকীর্তি ফাঁস / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেমের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মা। প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে, মাকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে। তাই প্রেমিকের পরামর্শে বিষ দিয়ে মাকে খুন করল নাবালিকা। যদিও শেষরক্ষা হল না। বাবার অভিযোগে সেই নাবালিকা মেয়ে-সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

প্রেমের পথে কাঁটা সরাতে প্রেমিকের পরামর্শে নিজের মাকে ঠাণ্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খায়িয়ে মাকে খুন করল মেয়ে। দেহ দাহ হওয়ার কয়েকদিন পর, নাবালিকা ওই মেয়ের চ্যাট থেকে সামনে এল মায়ের মৃত্যুর আসল কারণ। সেই সঙ্গে ফাঁস হল তার কুকীর্তির কথা। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই, পুলিশ গ্রেফতার করল ৪ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকায়।

মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মহতাবপুর এলাকার বাসিন্দা ১৯ বছরের জিৎ আঢ্যর। বিষয়টি জানাজানি হতেই নাবালিকার পরিবারের কেউ মেনে নিতে চায়নি। নাবালিকার মা একমাত্র এই বিষয়টিতে বেশি বাধা দিতেন। এরপরই ঘটে দুর্ঘটনা। পয়লা বৈশাখের দিন সোনার দোকানে হালখাতার আয়োজন করা হয়েছিল। দোকানের ভিড় এবং বিভিন্ন আয়োজনে পরিবারের সকলেই ব্যস্ত ছিলেন। সেই সুযোগে কাজে ব্যস্ত মাকে কোলড্রিংস খেতে দিয়েছিল তাঁর নাবালিকা মেয়ে।

জানা গিয়েছে, ২ গ্লাস পরপর কোলড্রিংস খাওয়ার পরই ওই নাবালিকার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওইদিনই মহিলার মৃত্যু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাই আর পরিবারের সদস্যরা এই নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করেননি। ১৬ এপ্রিল ওই নাবালিকার মায়ের শেষকৃত্য হয়। এ পর্যন্ত কেউই আসল বিষয়টি জানতে পারেননি। তবে, সম্প্রতি নাবালিকার মোবাইল চ্যাট পরিবারের হাতে আসে। তা থেকেই জানা যায় আসল ঘটনা। ফাঁস হয় নাবালিকার কুকীর্তির কথা। জানা যায়, কীভাবে পাকা অপরাধীর মতো ঠাণ্ডা মাথায় সে তার মাকে খুন করেছে।  

ওই চ্যাটে নাবালিকা তার প্রেমিক জিৎকে লিখেছে, ‘তুমি যেটা দিয়েছিলে, সেটা গতকাল খাইয়ে দিয়েছি। কাজ সাকসেসফুল হয়েছে।’ এটা দেখার পরেই পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, পরিকল্পিতভাবে কিছু পান করিয়েই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। এরপর পুরো চ্যাট-সহ গোটা ঘটনার বৃত্তান্ত জানার পর পুলিশের কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী তথা ওই নাবালিকার বাবা। এরপর সব দেখে শুক্রবার পুলিশ ওই নাবালিকা, তার প্রেমিক জিৎ আঢ্য ও তার বাবা-মাকেও গ্রেফতার করে। আজই তাদেরকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয় বলেও জানা গিয়েছে।