নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রাত্রিবেলা শৌচকর্মের উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন কিশোরী। তখনও বুঝতে পারেননি ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। অভিযোগ, বাড়ির বাইরে বের হতেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় গ্রামেরই এক যুবক। হাত-পা-মুখ বেঁধে চলে লাগাতার ধর্ষণ। এরপর নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, এই ঘৃণ্য ঘটনার সাক্ষী মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুমেদপুর। কয়েকদিন অন্তর অন্তরই এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। চিন্তিত এলাকাবাসীরাও। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে? নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই কিশোরী। সেই সময় সুলতান আনসারী নামের গ্রামেরই এক যুবক পেছন থেকে এসে তাঁকে জাপটে ধরে। মুখে গুঁজে দেয় কাপড়ও। এরপর হাত-পা বেঁধে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় গ্রামের একটি মাঠের মাঝে।
অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। হাত-পা-মুখ বাধা অবস্থাতেই কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। ক্রমশই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিশোরী। তখনও যৌন লালসা মেটেনি যুবকের। ওই অবস্থাতেই তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। সেখানেও চলে লাগাতার ধর্ষণ। এরপর সুলতান কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির বাইরে বেরোলে চিৎকার শুরু করেন নির্যাতিতা।
অন্যদিকে মেয়েকে খুঁজতে বাড়ির লোকজন ততক্ষণে বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। নির্যাতিতার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। অবস্থা বেগতিক বুঝে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সুলতান। এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি অসুস্থ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, “বাথরুম করতে উঠেছিল। সেই সময় মুখে কাপড় গুঁজে তুলে নিয়ে চলে গেল। এরপর নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আমি কান্নাকাটি করেছি। তবুও ওকে ছাড়ল না।”
ঘটনার পরই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। তাঁদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্তের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আপনার মতামত লিখুন :