আজই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক ২০২২-এর ফলাফল। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এবার মাধ্যমিকে যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছেন দুই জন, অর্ণব ঘড়াই ও রৌনক মণ্ডল। অর্ণব বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ও রৌনক বর্ধমান সিএমএস স্কুলের ছাত্র। দুজনেই ৬৯৩ অর্থাৎ ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
প্রথম হয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বর্ধমানের রৌনক। বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক আর মা গৃহশিক্ষিকা। ছোট থেকেই তাই পড়াশোনার পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা রৌনকের৷ নিজের অত্যন্ত মেধাবী৷ ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। এখন সেই স্বপ্ন লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করাই এখন পাখির চোখ বর্ধমানের এই ছাত্রের।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, মাধ্যমিকে শীর্ষস্থানে যাওয়াই ছিল রৌনকের লক্ষ্য। তবে পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনও ধরাবাঁধা সময় ছিল না। রৌনকের বাবা জানান, কখনও রাত ১২টা পর্যন্ত তো কখনও রাত ৯টার মধ্যেই পড়া শেষ করে ফেলতেন ছেলে। ছোট থেকেই স্কুলে বরাবর প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়ে এসেছে সে। তাই এবারও ভালো ফলাফলের আশা ছিল৷ আর সেই আশা সত্যিও করেছে ছেলে।
রৌনক মাধ্যমিকে শীর্ষ স্থান অর্জন করায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া বর্ধমানের মণ্ডল পরিবারে। খুশি রৌনক নিজেও। নিজের এই অভাবনীয় ফলাফল প্রসঙ্গে রৌনক জানিয়েছে, "আমি জানতাম এক থেকে দশের মধ্যে থাকব। তবে একেবারে প্রথম হব এটা একদমই ভাবিনি। রেজাল্ট দেখে খুবই ভাল লাগছে।"
মাধ্যমিকের জন্য কীভাবে নিজের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? রৌনক জানান, "টেস্ট পেপার খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি কোয়েশ্চন ব্যাঙ্ক থেকেও প্রশ্ন উত্তর করেছি। করোনা লকডাউনের সময় স্যরেরা খুব সাহায্য করেছেন। সেই সময় অনলাইনে পড়তাম, তবে নিদির্ষ্ট সময় কিছু ঠিক ছিল না। আমার মা বাবা শিক্ষক শিক্ষিকারা খুব সাহায্য করেছেন। বই ভালো করে পড়লেই হবে।"
পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ জ্ঞান থেকে শুরু করে নানা ধরনের বই পড়ত রৌনক। এভাবেই জীবনের বড় পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিল বর্ধমানের এই কৃতী ছাত্র। রৌনক আরও জানায়, "আমার অঙ্ক এবং জীবনবিজ্ঞান পড়তে খুব ভালো লাগে। আগামী দিনে ডাক্তার হয়ে জনসেবা করতে চাই।"
উল্লেখ্য, পড়াশুনোর পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চাও করে রৌনক। গল্পের বই পড়তেও তার খুব ভাল লাগে। আগে ভলিবল খেলার দিকেও ঝোঁক ছিল বলে জানিয়েছেবর্ধমানের এই মেধাবী পড়ুয়া৷ এসবের ফাঁকেই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে আজ মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে মা-বাবা তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছে রৌনক।
আপনার মতামত লিখুন :