শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

পাড়ার গ্রিল কারখানায় কাজ করা যুবকের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’! বাংলাদেশে পালিয়ে বিপাকে নাবালিকা, অবশেষে স্বস্তি

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ১০:৩৩ এএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম

পাড়ার গ্রিল কারখানায় কাজ করা যুবকের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’! বাংলাদেশে পালিয়ে বিপাকে নাবালিকা, অবশেষে স্বস্তি
পাড়ার গ্রিল কারখানায় কাজ করা যুবকের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’! বাংলাদেশে পালিয়ে বিপাকে নাবালিকা, অবশেষে স্বস্তি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কৃষ্ণনগর মানিকপাড়া এলাকার এক গ্রিল কারখানায় কাজ করতে এসেছিল এক অল্প বয়সী যুবক। সে বাংলাদেশের রংপুর এলাকার বাসিন্দা, নাম মিলন শেখ, বয়স ২২ বছর। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব এলাকার এক নাবালিকার। প্রথমে আলাপ, এরপর বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে ভালালাগায় পরিণত হয়। বয়সটাই যে এমন। এই বয়স ঠিক-ভুলের বেড়াজাল মানে না। সব বিধিনিষেধ ভেঙে মাথা তুলতে চায়। এক্ষেত্রেও তাই করে ওই নাবালিকা। কোনও কিছু না ভেবে, কৃষ্ণনগরের মৃণালিনী বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে বাংলাদেশের ওই যুবকের সঙ্গে। 

যেমন ভাবা তেমন কাজ। ২০২১ এর জুনের শেষদিকে আচমকাই একদিন ওই নাবালিকা উধাও হয়ে যায়। বাড়ির লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করে। স্থানীয় থানায় ডায়েরিও করে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে, ওই যুবকের সঙ্গে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে পা রাখতেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে নাবালিকা। দু-একদিনের মধ্যে সে বাড়িতে ফিরতে চাইলে, কোনও আগ্রহ দেখায়নি ওই যুবক। এরপর একাই সে দেশে ফিরতে চাইলে ধরা পড়ে যায় বাংলাদেশ বর্ডারে। তাঁর কথা শুনে এবং বয়স অল্প হওয়ার কারণে তাঁকে রাখা হয় বাংলাদেশের রংপুরের একটি হোমে। এর মধ্যেই কেটে যায় অনেকগুলো মাস।

অন্যদিকে, এপারের পুলিশও তাঁদের তদন্ত জারি রেখেছিল। তদন্ত চলাকালীন তাঁদের কাছে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তখন স্পষ্ট হয় যে, ওই যুবকের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়েছে নাবালিকা। কিন্তু সীমান্ত টপকে ওপাড়ে পৌঁছতেই ধরা পড়ে যায় সে। নাবালিকা রয়েছে বাংলাদেশের হোমে। এই খবরে চিন্তায় ভেঙে পড়ে নাবালিকার পরিবার। 

এরপর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, আইনিভাবে নাবালিকাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা শুরু করা হয়। মঙ্গলবার ভারতের গেঁদে সীমান্ত দিয়ে ফেরে নাবালিকা। বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ প্রশাসন এবং ভারতীয় উচ্চপদস্থ প্রশাসনের উপস্থিতি এবং আলোচনার ভিত্তিতে তাকে ফেরত দেওয়া হল ভারত সরকারের হাতে। নাবালিকা ঘরে ফিরতেই চিন্তামুক্ত হল তার পরিবার, খুশি নাবালিকা নিজেও।