টেট পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি। কিন্তু তাতে কি? এতে স্কুলের চাকরি পাওয়া কিন্তু আটকায়নি নদীয়ার পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের। পাস না করেও দিব্যি তিনি চাকরি করছেন নদীয়ার হবিবপুর পানপাড়ার রাঘবপুর কনভার্টেড জুনিয়র প্রাইমারি স্কুলে। তবে এই চাকরি যে তিনি সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিয়ে পেয়েছিলেন তা অপপটে স্বীকার করলেন পাপিয়া দেবীর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস। আর এই তথ্য উঠে আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একের পর এক রহস্যের উদঘাটন করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে একের পর এক রাঘববোয়াল থেকে শুরু করে চুনো পুঁটিদের। এরমধ্যেই বাগদার চন্দন ওরফে রঞ্জনের বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েই বেরিয়ে এলো কেঁচো খুঁড়তে কেউটে।
কল্যাণীর বাসিন্দা পাপিয়া মুখোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাসকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে এনেছেন জয়ন্ত বাবু। তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, " ২০১২ সালে পাপিয়া টেট দিয়েছিল। কিন্তু পাশ করতে পারেনি। এরপর ২০১৭ সালে সে চাকরি পায়। চন্দন নামে একজনকে আমার স্ত্রী সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিল। এই টাকার বিনিময়ে সে চাকরিটা পেয়েছে"।
এরপরে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে চন্দনের সঙ্গে কিভাবে আলাপ হয়েছিল পাপিয়া দেবীর। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তার স্বামী জানিয়েছেন, বাগদায় মামা ভাগিনা গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। সেখানেই চন্দনের সঙ্গে চেনাজানা পাপিয়ার। এরপর পাপিয়া দেবী যখন টেট পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি তখন চন্দনই যোগাযোগ করেছিলেন তার স্ত্রীয়ের সঙ্গে।
যদিও স্বামীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তার কথায়, জয়ন্ত বাবুর সঙ্গে অনেকদিন ধরেই সম্পর্ক নেই তার। পাপিয়া দেবীর সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ২০১২ সালে টেট পরীক্ষা দিতে পারেননি। কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি ফেল পরীক্ষায় বসেন। এরপর ২০১৭ সালে তিনি স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেন। যদিও এখন ৩১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে রয়েছেন পাপিয়া দেবী।
আপনার মতামত লিখুন :