বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজকের দিনেও এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে সমাজে। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে নিগৃহীতা হতে হয় এক মা-কে। ইচ্ছে ছিলে ছেলে হবে। কিন্তু সেখানে পরপর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কারণে সব আক্রোশ গিয়ে পড়ে মায়ের উপর। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য দায়ী মা’ই। তাই অপরাধ যখন হয়েছে, তখন শাস্তিও অনিবার্য।
শুরু হয়, ছোট ছোট দুই কন্যা সন্তানের মার উপর পাশবিক অত্যাচার। কখনো যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, কখনো যৌনাঙ্গের পাশে সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে এবং মারধর করে চলত অত্যাচার। বেশ কয়েক মাস ধরেই পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছিল তাঁর স্বামী। এমনকি স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেবে এমনও জানিয়েছিল। দিনের পর দিন চলতে থাকে অত্যাচার। বর্তমানে দুই কন্যা সন্তানের নিগৃহীতা তরুণী মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হাসপাতালে।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়ার বিজার গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই তরুণীর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম তৌফিক শেখ, বিজারার বাসিন্দা তৌফিক। গত ২০১৬ সালে ডাঙা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পর পর দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুরবাড়ির পরিবার। অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রীকে মারধর করত অভিযুক্ত স্বামী।
যদিও এখন এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বধূর বাবা ভুলু শেখ বলেন, ‘মেয়ের ওপর অত্যাচারের কথা শুনে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওঁকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার শীঘ্রই পুলিশে অভিযোগ জানাব।’ বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে এও দাবি করা হয়েছে, তৌফিক পলাতক।
আপনার মতামত লিখুন :