বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝটিকা সফরে পাহাড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই পাহাড়ে গিয়েছেন। এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দার্জিলিং- এ গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এদিন রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দার্জিলিং- এর রাজভবনে চা চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিকেলে বেশ কিছুক্ষণ সময় দার্জিলিং-এর রাজভবনে সময় কাটান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। তখন সেখানে ছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, তাঁদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। আজকের এই সাক্ষাৎ পুরোটাই সৌজন্যমূলক।
এদিন এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটু চা খেলাম, একটা বিস্কুট খেলাম। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি পুরোটাই ছিল সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ।’ উল্লেখ্য, কংগ্রেসে থাকাকালীন একসঙ্গে কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাই পুরনো সহকর্মীর সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লেগেছে বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন যে, ‘আমি যখন কামাখ্যায় গিয়েছিলাম তখন খুব সাহায্য করেছিল। আমাদের একটু সম্পর্ক রাখা উচিত বলে মনে করি। অসমের অনেকেই বাংলায় থাকেন এবং বাংলার অনেকেই অসমে থাকেন। আলিপুরদুয়ার আমাদের সীমান্ত। তাই সম্পর্ক রাখা উচিত।’
এদিকে, এই সাক্ষাতকে একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বিরোধীরা। দার্জিলিং রাজভবনে মমতাকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। দিল্লিতে আমরা সেটা দেখতে পাই। মোদীও বলছেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত, মমতাও বলছেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত। মোদী বলছেন কংগ্রেস হঠাও, মমতাও বলছেন কংগ্রেস হঠাও। তাই রাজ্যপালের কাছে তিনি যাবেন, চা খাবেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মা আসবেন, এতে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :