শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শাহের সফরের পরেও বন্ধ নেই ইস্তফা দেওয়া! এই জেলা কমিটি ছাড়লেন আরও ৫ পদাধিকারি

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: মে ৯, ২০২২, ০২:২২ এএম

শাহের সফরের পরেও বন্ধ নেই ইস্তফা দেওয়া! এই জেলা কমিটি ছাড়লেন আরও ৫ পদাধিকারি
শাহের সফরের পরেও বন্ধ নেই ইস্তফা দেওয়া! এই জেলা কমিটি ছাড়লেন আরও ৫ পদাধিকারি / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফরের পরেও বন্ধ নেই ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক। এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের প্রকাশ্যে চলে এল বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। জেলা কমিটি থেকে ফের পদত্যাগ করলেন ৫ জন। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পুরসভার টিকিট দেওয়া, অযোগ্যদের পদে বসানর পাশাপাশি একাধিক অভিযোগ তুলে এই ৫ পদাধিকারী ইস্তফা দিলেন। জানা গিয়েছে, রবিবার অর্থাৎ এদিন ওই ৫ জনই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। 

চলতি মাসের ১ তারিখ বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ১৫ জন সদস্য। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের ধাক্কা পদ্ম শিবিরে। জানা গিয়েছে, বারাসাত সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে  একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে পদ ছেড়েছেন অশোকনগরের ৫ বিজেপির পদাধিকারী। 

রবিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে দলীয় কার্যলেয়ে পদত্যাগের কথা জানান এই ৫ নেতা। জানা গিয়েছে এই ৫ নেতার ক্ষভের মূল কারণ, জেলা সভাপতির দল পরিচালনার নীতি নিয়ে। তবে, এরপরেও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা সভাপতি তাপস মিত্র। 

এদিকে, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভুল বুঝিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করানো হয়েছে তাঁদের। বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির ৬৯ জন জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। এবার অশোকনগরে সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দন দাস, গৌরাঙ্গ নন্দী ,কৃষ্ণা রায়, গৌরাঙ্গ দাস ও প্রবীর দাস এই পাঁচজন পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদের অভিযোগ, বর্তমান জেলা সভাপতি দলের পুরনো নেতৃত্ব ও কর্মীদের কোনও আমল দিচ্ছেন না। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মিথ্যে। পাশাপাশি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। এদিন ওই ৫ জন জেলা সভাপতিকে দ্রুত তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবিও তুলেছেন। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগী বিজেপি নেতারা বলেন, ‘আমরা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আমাদের পদ ছাড়ার কারণ জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠাচ্ছি।’ বারাসাত সাংগঠনিক পদ থেকে করাও আরও একবার স্পষ্ট হল বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।