সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের! অথৈ জলে দুই পুত্র সন্তান

মৌসুমী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২, ০৭:২৬ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০১:২৬ এএম

ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু  মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের! অথৈ জলে দুই পুত্র সন্তান
ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের! অথৈ জলে দুই পুত্র সন্তান

একটু বাড়তি রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহের চাচোল এক নম্বর ব্লকের ডমাবির গ্রামের বাসিন্দা নুরবানু বিবি। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হলো না নিজের দুই শিশু পুত্রের কাছে। ফিরল তার নিথর দেহ। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চাচোল এর ভগবতীপুরে বিয়ে হয়েছিল নুরবানু বিবির (৩৭)। কিন্তু গত তিন বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক নেই তার। দুই শিশু পুত্রকে নিয়ে মায়ের কাছেই গ্রামের বাড়িতে থাকতেন নুরবানু। এদিকে সংসারের হাল ছিল বেহাল। তবে এলাকায় জবকার্ডের মাধ্যমে মাটি কাটার কাজ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে সেই কাজও চলে যায়। এরপরে আরো বিপদে পড়ে নুরবানুর পরিবার।

জানা গিয়েছে সংসারের আর্থিক সমস্যা মেটাতে এলাকার শ্রমিকদের সহযোগিতায় ভিন রাজ্যে একটি কাজ জুটিয়ে ফেলেন তিনি। সেকেন্দ্রাবাদে শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজ পান নুরবানু। দুই সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে সেখানে কাজের জন্য যান তিনি। কথা ছিল রোজগার করে খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন ছেলেদের কাছে। কিন্তু হঠাৎই দুর্ঘটনায় সেই কথা আর রাখা হলো না।

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা জনিত কারণে সেকেন্দ্রাবাদে গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় নুরবানুর। ওই এলাকাতেই রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল তার দেহ। এরপর স্থানীয় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে পরিবারের খবর আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার ঠিকাদারদের উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়িতে ফেরানো হয়েছে মৃতদেহ।

এদিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে নুরবানুর মৃত্যুর পর চিন্তার ভাজ করেছে তার বৃদ্ধা মায়ের কপালে। একে সন্তান হারানোর সুখ তার ওপর দুই নাতির ভরণ পোষনের দায়িত্ব। সবমিলিয়ে চিন্তার মেঘ গ্রাস করেছে বৃদ্ধাকে। তাদের দাবি এই পরিস্থিতিতে সরকারের সাহায্য পেলে মাত্রীহারা ছেলে দুটির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হতে পারে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তফাজ্জল হোসেন অবশ্য বিডিওর কাছে এই গোটা বিষয়ে সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।