শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নয়া মোড়! উদ্ধার প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৯:৫৫ এএম | আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নয়া মোড়! উদ্ধার প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নয়া মোড়! উদ্ধার প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার অর্পিত হয়েছে সিবিআই-এর উপর। সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্তপ্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে। এদিকে, এর মধ্যেই তপন কান্দু খুনের ঘটনায় নয়া মোড় এল। বুধবার সকালেই উদ্ধার হল ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জনের দেহ। তাঁর দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যাতে অত্যাধিক মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে মৃত নিরঞ্জনের পরিবার। 

নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে বহুদিন ধরেই চিনতেন নিরঞ্জন নামের ওই ব্যক্তি। নিজের চোখের সামনেই খুন হতে দেখেছিলেন তপন কান্দুকে। পেশায় নিরঞ্জনকে এদিন সকাল থেকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সাধারণত ঘুম থেকে উঠে সকালের দিকেই টিউশন পড়াতেন তিনি। কিন্তু এদিন সকালে দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে না বেরোনোয় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। এরপরই তাঁরা ঘরে গিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন বছর ৪০ এর নিরঞ্জন।

এদিকে, নিরঞ্জনবাবুর দাদা জানিয়েছেন যে, তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তাঁর ভাই। তাই তপন কান্দু খুন হওয়ার পর থেকেই নিরঞ্জনবাবুকে বারবার ডেকে নিয়ে যেত পুলিশ। থানায় বসিয়ে রাখা হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পুলিশের পক্ষ থেকে অত্যাধিক চাপ দেওয়ার কারণেই নিরঞ্জন ওই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই তাঁর পরিবারের দাবি।   

উল্লেখ্য, তপন কান্দু খুনে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। থানার আইসি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এবার আরও বড় অভিযোগ তুললেন মৃত নিরঞ্জনের পরিবার। আবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জন নামে ওই ব্যক্তিকে। বিশেষ করে, সিবিআই তপন কান্দু খুনের মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর থেকেই শাসকদলের পক্ষ থেকে হুমকি দয়া হচ্ছিল বলে দাবি কংগ্রেসের একাংশেরথছে।

এই ঘটনার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। খবর পেয়ে, এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝালদা থানার পুলিশ বাহিনী। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় শিক্ষক হিসেবে বিশেষ পরিচিত নিরঞ্জনবাবু। তাই তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। 

যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়ছে, সেখানে পুলিশ যে তাঁকে বারবার ডাকছিল সে কথার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে লেখা আছে, তপন কান্দুকে খুন করার সেই দৃশ্য মাথা থেকে বের করতে পারছেন না তিনি। তাই সে দিন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এদিন সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বনধ শুরু হয়েছে ঝালদায়। তপন কান্দুর স্ত্রীকে হেনস্থা করার প্রতিবাদে বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।