শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কলকাতার পর এবার বীরভূমে হানা! পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ED-র

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ১১:২৯ এএম | আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম

কলকাতার পর এবার বীরভূমে হানা! পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ED-র
কলকাতার পর এবার বীরভূমে হানা! পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ED-র

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক সম্পত্তির হদিশ মেলার পর এবার বীরভূমে হানা দিল ইডি। বুধবার সকাল আটটা নাগাদ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বীরভূমে উপস্থিত হয় ইডির বিশাল বাহিনী। ভাগ হয়ে যায় তিনটি দলে। এরপর বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।

ইডির তিনটি দলের মধ্যে প্রথম দলটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জমি জায়গা যিনি দেখভাল করেন সেই রাজিব চট্টোপাধ্যায়ের আহমেদপুরের বাড়িতে যায়। দ্বিতীয় দলটি হানা দেয় সিউড়ির বিখ্যাত পাথর ব্যবসায়ী টুলু মন্ডলের বাড়িতে। এবং তৃতীয় দলটি পাড়ুইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এক একটি দলে প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় জওয়ান রয়েছেন। গোয়েন্দা আধিকারিক সহ প্রতিটি দলে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন করে রয়েছেন।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে যে সাতটি বাড়ির হদিশ মিলেছে সেগুলি আদতে কার নামে রয়েছে অথবা সেগুলির মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিনা তা জানতেই রাজিব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। রাজিব মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, জমি সহ যাবতীয় সম্পত্তির দেখাশোনা করতেন। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ধারণা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে বোলপুরের বিপুল সম্পত্তির মালিকানা আসলে ঠিক কার নামে রয়েছে সেই বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদও।

অন্যদিকে সিউড়ির বিখ্যাত পাথর ব্যবসায়ী টুলু মন্ডল কোটি কোটি টাকার মালিক বলে দাবি করেছিলেন স্থানীয়রা। কেবলমাত্র পাথরের ব্যবসা করেই তিনি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন নাকি এই টাকার উৎসের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে টুলু মন্ডলের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। টুলু মন্ডলের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে বোলপুরে ‘অপা’ নামের একটি বাড়ির হদিশ মেলে। নথি বলছে, বাড়িটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে। কিন্তু এছাড়াও বোলপুরে অর্পিতার মোট সাতটি বাড়ির হদিশ মিলছে। কিন্তু সেই বাড়িগুলির মালিকানা আদৌ অর্পিতার নামে রয়েছে? নাকি প্রতিটি বাড়ির মালিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি আধিকারিকরা।