শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নৃশংস হত্যাকাণ্ড! হাওড়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে খুন করল পরিবাররেই সদস্য

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ১১:০৫ এএম | আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৫:১৩ পিএম

নৃশংস হত্যাকাণ্ড! হাওড়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে খুন করল পরিবাররেই সদস্য
নৃশংস হত্যাকাণ্ড! হাওড়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে খুন করল পরিবাররেই সদস্য / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড! একই পরিবারের চারজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করল পরিবারেরই সদস্য। মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে পরিবারের ছোট ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে হাওড়া থানার এমসি ঘোষ লেনে। 

পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। এমনটাই জানা যাচ্ছে। বাড়ির মেজ ছেলে, তার স্ত্রী, মা এবং মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলের ছোট ভাই এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এদিকে, এই খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে ছোট ছেলের স্ত্রীকে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ছেলে।   

জানা গিয়েছে, হাওড়ার এমসি ঘোষ লেনের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৫৬-র মাধবী ঘোষ। তার দুই ছেলে। একই বাড়িতে থাকতেন ওই মহিলার বড় ছেলে দেবাশিস, পুত্রবধূ রেখা এবং বছর ১৩-র রূপসা ওরফে তিয়াসা। পাশাপাশি ওই বাড়িতেই থাকতেন ওই মহিলার ছোট ছেলে এবং ছোট ছেলের স্ত্রী। প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পরিবারের সকলে একসঙ্গে থাকলেও, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। প্রায়ই সংসারে অশান্তি হত। প্রতিবেশীদের দাবি, মূলত সম্পত্তি নিয়েই বিবাদ হত সংসারে। 

জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে থেকেই অশান্তির শুরু। এরপর সময় যত এগোতে শুরু করে, ততোই অশান্তি বাড়তে থাকে। এই অশান্তি চলাকালীন পরিবারের ছোট ছেলে এবং তার স্ত্রী শাশুড়ি, ভাসুর, যা এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এদের মধ্যেই ভাইঝি তিয়াসা কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। তাঁরা দেখেন, চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সকলেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েকজন বাঁচানোর চেষ্টা করলে, তাঁরাও আক্রান্ত হন বলেই খবর।

এদিকে, ততক্ষণে পালিয়েছে ছোট ছেলে। পুলিশ খবর পেয়ে এসে দেখে, চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয়রাই হাওড়া থানার পুলিশকে জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রত্যেককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা ওই চারজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ওই পরিবারের ছোট ছেলের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরিবারের ছোট ছেলে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, সম্পত্তিগত বিবাদের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড। তবে, এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।