এবার দুবরাজপুর সংক্রান্ত অনুব্রত মণ্ডলের মামলায় এফ আই আর এর কপি ও অন্যান্য নথি চেয়েছিল ই ডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সেই দাবীকে এদিন মান্যতা দিল আদালত। ইডির দাবি ছিল অনুব্রত দিল্লি যাত্রা আটকাতে, এটা সাজানো গ্রেফতারি। তাই এই মামলার পেছনে কারা রয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল ইডি। এবার সেই দাবীকেই মান্যতা দিল দুবরাজপুর আদালত।
জানা গিয়েছে এদিন, সরকারি আইনজীবী বলেন তাদের কাছে আবেদনের কোন কপি আসেনি। এদিকে আবেদনের কপি দিতে হবে। এরপরে বিচারপতি জানতে চান ইডির আইনজীবী এই ধরনের আবেদনের কপি দিতে পারবেন কিনা। জবাবে ঈদের আইনজীবী সম্মতি দেন। এরপরে বিচারপতির লিখিত অর্ডারে আইনজীবী সরকারি আইনজীবীকে আবেদনের কপি দেন।
ইডি-র আরও দাবি, অভিযোগ পত্রে ঘটনা কোন সময়ে ঘটেছে, তার স্পষ্ট উল্লেখ নেই। অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলেও উল্লেখ করেছে ইডি।কিছুক্ষণ স্থগিত থাকার পর ফের শুনানি শুরু হলে, ইডির আইনজীবী বলেন, ‘আমরা অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিলাম। আমাদের একটা মামলা দিল্লি হাইকোর্টে চলছে। ১৯ তারিখে অর্থাৎ আমরা যেদিন অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, সেদিনই অন্য একটি মামলায় তাঁকে এখানে গ্রেফতার করা হল। আমরা মনে করছি পুরোটাই অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রাকে আটকানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং তার এই গ্রেফতারির ঘটনাটি পুরোটাই সাজানো। আমাদের এটা খুঁজে বের করতে হবে এর পিছনে কারা রয়েছে। এফআইআর কপি না পেলে এর পিছনে করা রয়েছে তা আমরা জানতে পারব না।"
অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় আপাতত বীরভূমে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। এমনটাই নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। রাউস এভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর এমনই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। আপাতত নয় জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যত স্বস্তি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতির।পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আপাতত ১৯ দিন তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।
আপনার মতামত লিখুন :