শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রোগীর পেট থেকে বের হল ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন! সফল অস্ত্রোপচার বর্ধমান হাসপাতালে

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: জুন ১৭, ২০২২, ০২:০২ এএম

রোগীর পেট থেকে বের হল ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন! সফল অস্ত্রোপচার বর্ধমান হাসপাতালে
রোগীর পেট থেকে বের হল ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন! সফল অস্ত্রোপচার বর্ধমান হাসপাতালে

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাংঘাতিক ব্যাপার, এক ব্যক্তির পেট থেকে বের করা হল ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন ও সঙ্গে কিছু পাথর কুচি। এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সফল অস্ত্রোপচারের পর ওই ব্যক্তির পেট থেকে বার করা সম্ভব হয়েছে ওই সব পেরেক, কয়েন ও পাথর কুচি। ওই ব্যাক্তির নাম শেখ মইনুদ্দিন। অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ বলে জানা গিয়েছে। 

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কৃষ্ণবাটি গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইনুদ্দিন। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি মানসিক রোগী। পরিবারের সদস্যরা তাঁর বর্ধমান হাসপাতালে নিয়মিত মানসিক বিভাগে চিকিৎসা করান।

জানা গিয়েছে, গত শনিবার সকাল থেকেই খাওয়া-দাওয়া ঠিকভাবে করছিলেন না ওই ব্যক্তি। বিকেলে এক গ্লাস দুধ ছাড়া কিছুই খাননি। আকারে-ইঙ্গিতে তিনি তাঁর পেটে ব্যথার কথা বোঝান বাড়ির সদস্যদের। মঙ্গলবার বর্ধমান শহর সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের কাছে মইনুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। 

পরিবারের সদস্যরা এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মইনুদ্দিনের এক্স-রে করান। এক্স-রে রিপোর্টে বেরিয়ে আসে পেটে ব্যথার আসল কারণ। রিপোর্টে দেখা যায়, মইনুদ্দিনের পেটে অসংখ্য পেরেক ও কয়েন রয়েছে। এরপর রিপোর্ট দেখে মইনুদ্দিনের অপারেশনের জন্য ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানায় ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরিবারের অত টাকা খরচ করার সামর্থ ছিল না। এরপর বুধবার সকালে তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মইনুদ্দিনের এক্স-রে রিপোর্ট দেখে, তাঁকে ভরতি করে নেন। রাতে অপারেশন করে তাঁর পেট থেকে ২৫০ টি পেরেক, ৩৫ টি কয়েন এবং বেশ কিছু পাথর কুচি বের করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সুস্থ মইনুদ্দিন। 

বর্ধমান হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান হাসপাতালের জন্য বড় সাফল্য। অন্যদিকে, মইনুদ্দিনের দাদা শেখ মসলিনউদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।