বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছে তাঁর পরিবার। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের কথা সিটের সদস্যরা বললেও, তাতে পনুমতি দেয়নি আনিসের পরিবার। এদিকে, গতকালই আনিস কাণ্ডে দুজঙ্কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও এক জন হোম গার্ডকে।
এদিকে, সিটের তদন্তে দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও, তাতে একেবারেই সন্তুষ্ট নন রাজ্য বিজেপি। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, সিট আদতে তদন্ত করছে না, আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার দাবিও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে খড়গপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে এমনই দাবি করেছেন তিনি। এদিকে, আনিস কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করা হলেও, তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘যারা তদন্তকে প্রভাবিত করবে তাঁদেরকে কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না?’ তিনিও এও দাবি করেছেন যে, যারা আসল মাথা এই ঘটনায় তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘দুটো সাধারণ পুলিশ, সিভিককে বলি করে এই কেস চাপা দেওয়া যাবে না। ওখানকার এসপিকে কেন সাসপেন্ড করা হচ্ছে না? ওখানে যারা সিনিয়র অফিসার আছেন, তাঁদের সকলকে সাসপেন্ড করে তদন্ত করা হোক।’
এর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের আরও দাবি করেছেন যে, সিট আসল তদন্ত করছে না, আসলে সিট ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, সব কিছু গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁর মতে, একটা ছেলেকে হত্যা করা হল, এক্ষেত্রে একপ্রকার সরকার মেনেই নিয়েছে যে পুলিশ মেরেছে। তাহলে কোন পুলিশ মেরেছে, তার পিছনে কে বা কারা রয়েছে সেই সমস্ত সত্য সামনে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
তিনি তো এও দাবি করেছেন যে, সরকারই খুন করেছে আনিসকে। এদিনও সেই একই দাবিতে অনড় তিনি। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দাবি করেন, ‘আসল তদন্ত না হলে বুঝতে হবে সরকার খুন করেছে, তৃণমূল খুন করেছে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনিস খান মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও এক জন হোম গার্ডকে। ধৃতরা হলেন কাশীনাথ বেরা ও প্রীতম ভট্টাচার্য। তবে, তাঁদের গ্রেফতারি নিয়েও ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, নীচু তলার দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করে প্রশাসনের রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতে চাওয়া হচ্ছে না তো? এরা দুজন, সিনিয়র অফিসারদের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এটা করতে পারে? এই প্রশ্ন তুলেছেন ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রীও।
আপনার মতামত লিখুন :