বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। গতকালই আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নামে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই মেলে বড় স্বস্তি। অনেকদিন পর, সোমবারই অনেকটা কমে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র নিচে নামলেও, গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও তা হাজারের নিচে রয়েছে আজও।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৩ জন। গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ফের সামান্য বাড়ল। তবে, এখনও আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের অনেকটাই নিচেই রয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৬ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২০ লক্ষ ৯৫ হাজার ২১০ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪৮ শতাংশে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টাতে করোনায় রাজ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৩৭৬ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ হাজার ১১৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ২০ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৯ শতাংশ।
এদিকে, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বা অ্যাকটিভ কেস। যদিও গত কয়েকদিন ধরে তা নিম্নমুখী। যা যথেষ্ট স্বস্তির। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ হাজার ৯২০ জন। আর হাসপাতালে ভরতি ৩৩৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। রাজ্যে করোনার মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গতকালের থেকে কমে হয়েছে ১২ হাজার ২৫৪ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ৪৯৩ জন। করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৬৮ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১১ হাজার ৮০৮ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে মুম্বই, কেরলা, দিল্লিতে যেভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় রেখেছে। তবে, এদিনও বাংলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০-র নিচে থাকায় উদ্বেগ কিছুটা কমেছে।
সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে কোভিড নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর আগেই। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নতুন করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে ফের আগের মতো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফের মাস্ক, স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :