বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। বগটুই গণহত্যার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মুহূর্তে রামপুরহাটের বগটতেরগ্রাম খবরের শিরোনামেই রয়েছে। ২১ মার্চ সোমবার এই গ্রামেই তৃণমূল উপ-প্রধান ভাদু শেখকে খুনের পর, সেই রাতেই গ্রামে গণহত্যা হয়। আএই গণহত্যায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল মহিলা এবং শিশু।
সেই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে যাকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়েছে তিনি বলেন, মৃত উপ-প্রধান ভাদু শেখের ছায়া সঙ্গী লালন শেখ। এই লালন শেখের সামনেই সোমবার রাতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ভাদু শেখের। আর ভাদু শেখের মৃত্যুর বদলা নিতে বগটুই গ্রামে চলে গণহত্যা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়ি। সেই আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয় ৯ জনের।
এদিকে, সেই গণহত্যা ঘটে যাওয়ার পর যখন লালন শেখ টের পেতে শুরু করে যে, অভিযুক্তদের তালিকায় তার নামও রয়েছে। তখনই থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। শুঢু তিনিই নন, তার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও পলাতক। এদিকে, সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও, বাড়িতেই গৃহবন্দী অবস্থায় আটকে ছিল একটি প্রাণ। সে হল লালন শেখের পোষ্য জার্মান শেপার্ড।
যে পোষ্য সবসময় মানুষের আশেপাশে ঘোরাফেরা করত, তাকে আদর করে খাওয়াত, সেও অন্যদের আশেপাশে সবসময় ঘুরে বেড়াতো, সেই-ই টানা ৯ দিন ধরে গৃহবন্দী। এই ৯ দিন সে চেনা মানুষদের কাউকেই দেখতে পায়নি। এক ক’দিন সে মানুষের সংস্পর্শেই আসতে পারেনি। এ যেন খানিকটা ঘুরিয়ে অভিযুক্ত মালিকের জন্য ৯ দিনের সাজা ভোগ করতে হল তাকে।
আদালতের নির্দেশে বগটুইকাণ্ডে তদন্তভার পাওয়ার পর সিবিআই তদন্ত করছে। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার লালন শেখের বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। সিবিআই আধিকারিকরা লালন শেখের বাড়ির তালা ভাঙতেই বেরিয়ে আসে লালন শেখের পোষ্য।
জানা গিয়েছে, ৯ দিন কোনও মানুষের সংস্পর্শে না আসার কারণে, অচেনা হলেও, সিবিআই-এর তদন্তকারীদের দেখতেই পায়ে লুটিয়ে পড়ে। এই ঘটনা দেখে সিবিআই আধিকারিকরাও মর্মাহত হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, এরপর তদন্তকারীরা ওই সারমেয়টিকে খাবার এবং জল দিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :