শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

চক্রের বিস্তার বহুদূর! বীরভূম থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত মুর্শিদাবাদের গরু পাচার, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ১২:২৫ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম

চক্রের বিস্তার বহুদূর! বীরভূম থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত মুর্শিদাবাদের গরু পাচার, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
চক্রের বিস্তার বহুদূর! বীরভূম থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত মুর্শিদাবাদের গরু পাচার, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচার চক্রে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁকে জেরা করে এই পাচার চক্রের সম্পর্কে আর তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই চক্রের বিস্তার যে বহু দূর তা আগেই সন্দেহ করেছিল। এবার সেসব যোগসূত্রের জট ক্রমশ খুলছে। আর সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

এই মুহূর্তে সিবিআই-এর হাতে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাতে একটা বিষয় জলের মতো পরিষ্কার যে, গরু পাচার চক্রের মূল ঘাঁটি বীরভূম। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হত গরু পাচারের কাজকারবার। এই পাচারের ক্ষেত্রে দুই পক্ষের হয়ে মুলত কাজ করত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল এবং লতিফ। পাশাপাশি সিবিআই নজরে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, গুসকরার পশুহাট। উল্লেখ্য এই তিন হাটের পর্যবেক্ষক ছিলেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল।

সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকায় যে গরু পাচার চক্র কাজ করত, তা নিয়ন্ত্রণ করা হতো অনুব্রত গড় বীরভূম জেলা থেকেই। অনুব্রত মণ্ডলের নাম এই মামলায় জড়ানোর পর তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, তাঁর হয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজের দায়িত্ব ছিল দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের উপরেই। অন্যদিকে ব্যবসায়ী এনামুল হকের পক্ষ থেকে পাচারের কাজ সামলাত ইলামবাজার হাটের দালাল শেখ আবদুল লতিফ।

জানা গিয়েছে, কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গলের মা লতিফা খাতুনের নামে একটি সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তির নথি অনুযায়ী, দু’বার হাত বদল হওয়ার পর, সেই সম্পত্তি লতিফা খাতুনের নামে হয়েছে। তবে, যে মূল্যে জমি কেনা হয়েছে, তার থেকে বাজার মূল্য অনেক বেশি। আর এই জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে সায়গলকে সাহায্য করেছিল লতিফ। এই সাহায্যের পরিবর্তে বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাট থেকে যাতে কম দামে গরু কেনা যায়, তার জন্য লতিফকে সাহায্য করেছিল সায়গল। আর তা অনুব্রতর হয়েই করত।

সিবিআই সূত্রের আর খবর, জঙ্গিপুরের যে কাস্টমস হাউজ আছে, সেখানে ১৬ বার এনামুল হকের হয়ে আবদুল লতিফ গরু কেনাবেচার নিলামে যোগ দিয়েছিল। সেই গরু পাচার হয়েছিল বাংলাদেশে। এই পাচারের তথ্য লুকানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করত লতিফের ঘনিষ্ঠ মন্টু মল্লিক। এরও এই মামলায় নাম জড়িয়েছে। সবার থেকেই আলাদা করে তথ্য পেয়েছে সিবিআই।