শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিপদে অনুব্রত! ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ১৮ কোটি, এনামুলের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে? চার্জশিট CBI-এর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০১:০৯ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ৭, ২০২২, ০৭:০৯ পিএম

বিপদে অনুব্রত! ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ১৮ কোটি, এনামুলের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে? চার্জশিট CBI-এর
বিপদে অনুব্রত! ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ১৮ কোটি, এনামুলের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে? চার্জশিট CBI-এর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জল্পনাই সত্যি হল। গরু পাচার মামলায় চতুর্থ চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গরু পাচার মামলায় আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপটি অনুব্রত মণ্ডল। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার গ্রেফতারির ৫৭ দিনের মাথায় মাথায় চার্জশিট জমা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হয়। তবে, অনুব্রতকে গ্রেফতারির ৫৭ দিনের মাথাতেই চার্জশিট জমা করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ৩৫ পাতার চার্জশিটে অনুব্রতকে ‘মূল পৃষ্টপোষক’ বলেই দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটে এও দাবি করা হয়েছে যে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই নাকি চলত গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা লেনদেন। এদিন আদালতে চার্জশিট পেশ করার পাশাপাশি অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, ১১ আগস্ট গ্রেফতারির পর প্রথমে সিবিআই-এর হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন অনুব্রত জেরায় প্রথমে অসহযোগিতা করছিলেন বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরেই জেল হেফাজত হয় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের।

চলতি বছরের ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে, গরু পাচার মামলায় এটা চতুর্থ চার্জশিট। এদিকে, গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই ৩ টি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই আদালতে। সূত্রের খবর, এবারের চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য তুলে ধরা করা হয়েছে।

চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে যে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই চলত গরু পাচারের টাকার লেনদেন। আর পাচারকারীদের আড়াল করতেন, প্রোটেকশন দিতেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত। সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে যে, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, তাই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে তদন্তের উপরে তার প্রভাব পড়তে পারে, সমস্যা হতে পারে।