শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শান্তিনিকেতন আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার দুই, আটক ২ নাবালকও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ১১:০৪ এএম | আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম

শান্তিনিকেতন আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার দুই, আটক ২ নাবালকও
শান্তিনিকেতন আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার দুই, আটক ২ নাবালকও / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই ধর্ষণের ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। গত বৃহস্পতিবার এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। এবার শান্তিনিকেতন আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর, দু’জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের পাঁড়ুই থানা এলাকা বাদলোডাঙা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালককেও। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের নাম সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরান সোরেন। এদের গ্রেফতার করেছেন শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এর সঙ্গে আটক করা হয়েছে ২ নাবালককেও। 

এই ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিতা এবং তার প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করেন সিআইডি’র স্পেশাল স্কেচ আর্টিস্টরা।  সেই স্কেচ দেখেই, চিহ্নিতকরণের পর ২ জনকে গ্রেফতার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এই ২ জনের নাম সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরান সোরেন। এরপর আজ সকালে ২ জন নাবালককেও আটক করা হয়। 

অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ওই ধর্ষণের ঘটনার জায়গায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে ফরেন্সিক দল। রবিবারই বোলপুর সার্কিট হাউজে গিয়ে নাবালিকা ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লিনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর সহযোগীরা। 

নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ আনান্য আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লিনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর সহযোগীরা।  এরপরেই লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা মেডিকেল রিপোর্ট পেয়েছেন। সেই রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখবেন রাজ্য মহিলা কমিশনের ডাক্তার। তারপরই রিপোর্ট সম্পর্কে বলা যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আরও জানিয়েছেন যে, মেয়েটি তাঁদের জানিয়েছে যে, সে তার প্রেমিকের সঙ্গে মেলায় গিয়েছিল। তারপরে সে মাঠে যায় প্রেমিকের সঙ্গেই। মেয়েটির এক বান্ধবী সেইসময় কিছুটা দূরেই ছিল। এই পরিস্থিতিতে তারা ঘনিষ্ঠ হয়। ওই নির্যাতিতা নাবালিকার অভিযোগ, সেই সময়ই অভিযুক্ত চারজন ঘতিনাস্থলে আসে এবং তাদের ধমকায়। সেই সঙ্গে তাদের কিছুটা দূরে টেনেও নিয়ে যায় ওই চারজন। মেয়েটি জানিয়েছে, চারজনের মধ্যে দুইজন ছিল ছোট বা তারই বয়সি। তাদের মারধর করে সরাতে পারলেও, একজনকে পারেনি। মেয়েটির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে চলছে তদন্ত।