শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‘আমি তো পা তুলবই, দরকারে…’, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় দিলীপ ঘোষ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৭:৫৪ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২২, ০২:১১ এএম

‘আমি তো পা তুলবই, দরকারে…’, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় দিলীপ ঘোষ
‘আমি তো পা তুলবই, দরকারে…’, নিজের বিতর্কিত মন্তব্যে অনড় দিলীপ ঘোষ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরলেন না বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বরাবরই তিনি তাঁর বিভিন্ন সময়ে বলা মন্তব্যের কারণে চর্চায় থেকেছেন। তাঁর সেসব কথা নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছে। সেই সব বক্তব্যকে কুকথা অ্যাখ্যা দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু তাতে কোনও বদল দেখা যায়নি দিলীপের মধ্যে। দিলীপ আছেন দিলীপেই। উল্টে ‘যাঁদের জন্য যেমন শব্দ’ প্রয়োগ প্রয়োজন, তেমনই তিনি ব্যবহার করেন বলেও দাবি করেছেন। সেই তিনিই ফের একবার তাঁর মন্তব্যের জন্য শিরোনামে। শুক্রবার তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলা কথা ঘিরে ফের সমালোচিত হচ্ছেন দিলীপ।

উল্টে আরও ঝাঁঝ পাওয়া গেল তাঁর মন্তব্যে। শুক্রবারই সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদায় প্রাতঃভ্রমণের সময় তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি সাংসদকে ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক তৃণমূলের কর্মীরা। অভিযোগ, রীতিমতো দিলীপ ঘোষের পিছু নিয়েছিলেন বেলদার শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সময়ই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘বুকে পা তুলে দেব।’ পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মীদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের পাল্টা হিসাবে ‘সব চোরগুলো আমাদের সামনে’ বলতে শোনা গিয়েছে এই বিজেপি সাংসদকে।

এদিকে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। পরে বেলার দিকে মেদিনীপুর নেহরু যুব কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত নয়, আমি রাস্তায় বের হলে যদি হুঙ্কার দেয়, আমি তো পা তুলবই।’ শুধু টাই নয়, উল্টে একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ‘দরকারে গলাতেও পা তুলে দেব।’

শুক্রবার সকালের মন্তব্যের পর দুপুরে মেদিনীপুরে নেহরু যুব কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে রাজ্যের সরকারকে আক্রমণ করেন। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে নিরাপত্তার বিষয় তুলে ধরে দিলীপ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় শিল্প হল, বোমা-বন্দুকের শিল্প। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চপ শিল্পের কথা বলেছিলেন, সেটাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভগবানের ভরসায় বেঁচে আছেন।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা স্টেশন, নন্দ মার্কেট-সহ একাধিক জায়গায় প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তখনই আচমকাই তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ‘নারায়ণগড় বিধানসভার জন্য কী কাজ করেছেন?’ এই প্রশ্ন তুলে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী মেদিনীপুরের সাংসদকে কটাক্ষ করেন। অনেকেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। কেউ কেউ তো আবার দিলীপকে ‘চোর’, ‘চোর’ বলেও ডাকতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। আর তাতেই বেজায় চটে যান দিলীপ। তাঁর সপাট জবাব, ‘বলুক না, জিভ টেনে ছিঁড়ে না দিই, কার বাপের হিম্মত আছে এরকম বলার। আমি এদের প্রত্যেকটা লোকের নাম দেব, কে কতো টাকা খেয়েছে।’