শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শারীরিক অবস্থার অবনতি, সঙ্গ দিল না শরীর! ১০৩ ঘণ্টা অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২, ০৯:০৫ পিএম | আপডেট: মে ৩০, ২০২২, ০৫:১২ এএম

শারীরিক অবস্থার অবনতি, সঙ্গ দিল না শরীর! ১০৩ ঘণ্টা অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং
শারীরিক অবস্থার অবনতি, সঙ্গ দিল না শরীর! ১০৩ ঘণ্টা অনশনের পর হাসপাতালে বিমল গুরুং / ছবি সৌজন্যে- ফেসবুক

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তাঁর দাবি ছিল পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান, তারপরে জিটিএ নির্বাচন। তাই পাহাড়ে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও একই দাবিতে অনড় থেকে অনশন করে নতুন আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন বিমল গুরুং। গত ২৫ তারিখ থেকে সিংমারিতে মোর্চার কার্যালয়ের সামনে অনশন মঞ্চ নির্মাণ করে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন একদা পাহাড়ের দাপুটে নেতা। 

কিন্তু শরীর আর সঙ্গ দিল না। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। এদিন সকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। শেষে বিকেলের দিকে উচ্চরক্তচাপ, সুগারের রোগী বিমল গুরুং অনশন মঞ্চেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধের পর তাঁকে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক সঙ্গী রোশন গিরি জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনশন প্রত্যাহার করেছেন গুরুং। টানা ১০৩ ঘন্টা অনশন চালানোর পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাকে ভরতি করা হল হাসপাতালে। 

জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই নানাবিধ শারীরিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বিমল গুরুংকে অতি দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শের পরও বিমল গুরুং অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন। কিন্তু পারলেন না শেষ পর্যন্ত। শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর জেরেই তিনি অনশন ভঙ্গ করতে বাধ্য হন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর পর পাহাড়ে জি টি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জুনের ২৬ তারিখ নির্বাচন এবং ২৯ তারিখ রয়েছে নির্বাচনের ফল প্রকাশ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অনশনের রাস্তায় হাঁটেন বিমল গুরুং। তাঁর দাবি ছিল, আগে নির্বাচন নয়, আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করুক রাজ্য সরকার। এদিকে, এই অনশন আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে শনিবারই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। নির্বাচনী বিধি লাগু থাকায় এই বিষয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা সম্ভব নয় বলেই তিনি জানিয়েছিলেন গুরুংকে। পাশাপাশি এও আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নির্বাচন হয়ে গেলেই এই বিষয়ে আলোচনা করবে রাজ্য সরকার। 

কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রীর এই আশ্বাসে বিন্দুমাত্র নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি বিমল গুরুং। অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবার থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন। রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তখনই তাঁর অনশন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত মিলেছিল। পরে রোশন গিরি জানান, তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। শরীরের কথা বিবেচনা করেই গুরুংকে অনশন প্রত্যাহারের বিষয়ে বোঝানো হয়েছে।