বিস্ফোরক দাবি করলেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডির কাছে তিনি সাফ জানালেন পাচারের টাকার বিষয়ে সব জানে তাঁর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি। তিনি কিছুই জানেন না এই বিষয়ে। মেয়ে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা প্রসঙ্গেও একই কথা অনুব্রত মণ্ডলের। ইডি সূত্রের খবর, গরু পাচারের টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে এর বাইরে কোনও উত্তর দেননি বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা।
মেয়ে, দেহরক্ষী, অ্যাকাউন্টেন্ট, ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী- ইতিমধ্যেই দফায় দফায় সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ সারা আধিকারিকদের। হাতে যা তথ্য এসেছে আদালতে তা তুলে ধরে কেষ্টকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি আদায় করে নিয়েছে ইডি।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে। যদিও অনুমতি মেলেনি এখনো।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করলো ইডি। এদিন প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা জেরা করার পর তাকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই একই মামলায় আগেই তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন তিনি। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা৷ সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷এ দিন সকালেই ইডির তদন্তকারী দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে। এরপর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :