২০১৪ সালের একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল কে।মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা ইতিমধ্যেই বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন। এরপর এই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দিল্লি যাওয়া ফাঁকি দিতেই এই চাল চালা হলো।
জানা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার আগে বীরভূমের পার্টি অফিসে শিব শংকর মন্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে দেখে মারধর করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। সেই ঘটনায় দুবরাজপুর থানা এলাকার মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবশংকর মন্ডল গতকাল দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস এই ঘটনায় অনুব্রত মন্ডলকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।সেই জন্য আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারের সাহায্য চেয়েছে।শুনানি শেষ হলে ফের তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে ফেরত নিয়ে আসা হবে। তবে অবশ্যই বিচারক কি রায় দেয় তার ওপরে নির্ভর করছে গোটা বিষয়টি।
এক্ষেত্রে আদালত যদি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ফের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে আনতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেক্ষেত্রে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধা পাবেন ইডির আধিকারিকরা। এরপর সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে তারপরেই তাকে দিল্লী নিয়ে যাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আটকাতেই এই কৌশল অবলম্বন করলো পুলিশ। এর ফলে একদিকে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া আটকানো যেতে পারে তেমনি অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখন দেখার অনুব্রত মন্ডলকে কখন দিল্লি নিয়ে যাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :