নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বেআইনিভাবে ওষুধ মজুত রাখার অভিযোগে এবার বর্ধমান শহর থেকে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের পাঞ্জাবীপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ এবং বর্ধমান থানার পুলিশ একসঙ্গে। ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সৌরেন রায় নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির ট্রেড লাইসেন্স ছিল না। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই তিনি বেআইনিভাবে ব্যবসা করছিলেন। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছেন। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ী সৌরেন রায় সরকারিভাবে সরবারহ করার জন্য ওষুধ, ইঞ্জেকশন অবৈধভাবে মজুত করে তা বর্ধমান শহরের বেসরকারি নার্সিংহোম-সহ জেলার এবং পার্শ্ববর্তী জেলার নার্সিংহোমগুলিতে সরবারহ করতেন। এই অভিযোগেই এদিন বর্ধমান থানার পুলিশ শহরের পাঞ্জাবীপাড়া এলাকার একটি চারতলা ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করে। খোদ গভর্নমেন্ট সাপ্লাই মেডিসিন কীভাবে দিনের পর দিন ধরে স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই ব্যক্তি বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে দিচ্ছিলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে, সোমবার বিকেল তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ধৃত ব্যক্তির ফ্ল্যাটে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো দফতরের দুই সদস্যের সঙ্গে বর্ধমান থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালালেও, এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়াই দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে ধৃত সৌরেন রায়ের একসময় বর্ধমান শহরেরই খোসবাগান এলাকায় একটি ওষুধের দোকান ছিল। তবে, বছর ৫ আগে সেই দোকান বিক্রি করে দেন তিনি। উল্লেখ্য, বিশেষ সূত্রে ধৃত ব্যক্তির গতিবিধি সম্পর্কে বর্ধমান থানার পুলিশের কাছে তথ্য আসার পরই, এদিন বর্ধমান থানার পুলিশ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর তারপরই বিকেলে পাঞ্জাবিপাড়ার সৌরেন রায়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো থেকে এদিন মুতাহার সেখ ও রাজিবুল আলম নামে দুই সদস্যের প্রতিনিধি তল্লাশি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। সূত্রের খবর, এদিন তল্লাশি অভিযানে ধৃত ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক পেটি ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :