চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত! বাংলায় কি সুপার সাইক্লোন? কেমন থাকবে রাজ্যের আজকের আবহাওয়া?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার থেকেই আচমকাই আবহাওয়ার রদবদল। বর্ষা রাজ্য থেকে বিদায় নিতেই রাজ্যের রাপমাত্র নিম্নমুখী। সকালে রোদের তেজ অনুভূত হলেও, রবিবার রাত থেকেই তাপমাত্রা কমেছে শহরের। সেই সঙ্গে কমেছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। এদিকে, চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে ফের একবার বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকেও শনিবারই বর্ষা বিদায় নিয়েছে সম্পূর্ণভাবে। আর দক্ষিণবঙ্গে থেকে সোমবার বিকেলের মধ্যে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে।

বর্ষা বিদায় নিলেও, ঘূর্ণাবর্তের কারণে আবারও রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে এর নেপথ্যে ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরেই আগামী সপ্তাহে ফের একবার হাওয়া বদলের ইঙ্গিত রয়েছে। সোমবার বিকেলের দিকে উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত মঙ্গলবার সকাল থেকেই যা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলেই জানা গিয়েছে। ২০ অক্টোবর যা নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। দক্ষিণ পূর্ব এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করবে। এরপর ২০ তারিখের পর থেকে এটি সমুদ্রপৃষ্ঠে শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ হবে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকূল এলাকায়। তাই সরাসরি এ রাজ্যের উপরে এর প্রভাব পড়বে না বলেই এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, এ রাজ্যে কোনোভাবেই সুপার সাইক্লোনের সম্ভবনা নেই। পরিষ্কার জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

তবে, নিম্নচাপের কারণে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। কবে কবে এই বৃষ্টি হবে তা দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিসের বক্তব্য, ‘IMD-র পূর্বাভাস অত্যন্ত নির্দিষ্ট এবং নির্ভুল। ফলে ঘূর্ণাবর্ত কিংবা সাইক্লোন সংক্রান্ত পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে অন্য কোনও মডেল বা এজেন্সির পূর্বাভাস অনুসরণ না করে ভারতীয় গবেষণার উপরই আস্থা রাখা বাঞ্ছনীয়।’

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে রাজ্যে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুধুমাত্র এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশ থেকেই বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে গোটা দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।

বর্ষা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। দিনের বেলা হালকা গরম অনুভূত হলেও, রাতের দিকে তাপমাত্রা নামছে। এর ফলে গুমোট অস্বস্তিকর গরমের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন শহরবাসী। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৮৮ শতাংশ।