বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু তারপরেও শনিবার সন্ধের সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতা শহরে। আগামী কয়েকদিন কলকাতা- সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর বর্ষা বিদায়ের পরেও এই বৃষ্টির নেপথ্যে ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরেই আগামী সপ্তাহে ফের একবার হাওয়া বদলের ইঙ্গিত রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গ থেকে অবশেষে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘমুক্তই থাকবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রবিবার থেকেই কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। কাজেই বাংলায় বর্ষার মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে টা বলাই যায়। আগামী ২-৪ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আকাশ মূলত শুষ্কই থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে, এখনই মিলছে না স্বস্তি। বর্ষা বিদায় নিলেও, এই মেঘমুক্ত আকাশ বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আর এর সৌজন্যে ঘূর্ণাবর্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ১৮ অক্টোবর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। যা থেকে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভবনা রয়েছে। আর এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়তে শুরু করবে ১৯ অক্টোবর থেকে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে ভারী বৃষ্টি না হলেও, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। ২০ তারিখ থেকে মূলত নিম্নচাপের প্রভাব নজরে পড়বে বলেই অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা। অবশ্য এখনও এই ঘূর্ণাবর্তের গতিপথ নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে, কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া বিষয়ক একটি গবেষণা বলছে, আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এ দেশের একাধিক রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে সুপার সাইক্লোন। যার গতিবেগ হবে নাকি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার।
ওই গবেষণা অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে। এই নিম্নচাপই ২৫ তারিখ সুপার সাইক্লোন হয়ে আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। তবে, এখনও পর্যন্ত দিল্লীর মৌসম ভবন এই নিয়ে কোনও সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। এর পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রভাব বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরির বিষয়েও কোনও সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকেও। তবে, আশ্বস্ত করেছে আলিপুর। তাঁদের বক্তব্য, ‘এখনও পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস নেই। একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে এবং তা থেকে নিম্নচাপ।’
আপনার মতামত লিখুন :