ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ! রাজ্যের এই জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাও বা কয়েকদিনের বৃষ্টির রেশ কাটিয়ে রাজ্যবাসী শীতের আমেজ উপভোগ করছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হল না। ফের চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। আজ বুধবার সারাদিন স্বাভাবিকের উপরে থাকবে তাপমাত্রার পারদ। তাপমাত্রা আরও বাড়বে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই। এমনটাই জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে বাড়বে পূবালী হাওয়ার প্রভাব। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। 

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে দক্ষিণের পাশাপাশি পশ্চিমের জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে আগামীকাল। পাশাপাশি সকালের ডিকে কুয়াশার দাপটও থাকবে। সকালে আকাশ থাকবে মেঘলা। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই মনে ক্রা হচ্ছে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৭.৪ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। 

এদিকে দক্ষিণবঙ্গে আকাশ আংশিক মেঘলাথাক্তে পারে। রাতের ডিকে তাপমাত্রার পারদ বাড়বে। সকালের দিকে আবার ঘন কুয়াশা থাকবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে। বাকি জেলায় হালকা মাঝারি কুয়াশা দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আবার পশ্চিমের জেলা যেমন- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এরপর শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ আর নদিয়া জেলায়। শনিবারত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আকাশ মেঘলা থাকবে। পাশাপাশি সকালের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বেলা বাড়লে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বুধবার হালকা বৃষ্টি হবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবার আবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। শুক্রু শনিবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এর পাশাপাশি আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং জেলার উপরের দিকে হালকা তুষারপাত অথবা গ্রাউন্ড ফ্রস্ট হতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার পাহাড় এলাকায় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।