বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাগরে রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে ‘অশনি’। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত। যদিও ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা বর্তমানে নেই বললেই চলে। যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। তবে ঘনীভূত হয়েছে এক নতুন আশঙ্কা। ‘অশনি’র পর ফের গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘করিম’। এমনটাই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর।
মৌসুম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে আবারও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘করিম’। এই ঘূর্ণিঝড়টিকে হ্যারিকেন-২ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসন্ন এই সাইক্লোনের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘন্টায় ১১২ কিলোমিটার। যদিও ‘করিম’ প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। তবে সাইক্লোনের প্রভাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ‘অশনি’ বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া থেকে অশনির দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। অন্যদিকে বিশাখাপত্তনম থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অশনি। পাশাপাশি ওড়িশার গোপালপুর থেকে এর দূরত্ব ৪৯০ কিলোমিটার। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। যদিও আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন অশনির ল্যান্ডফল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, তা সমুদ্রবক্ষেই শক্তিক্ষয় করবে।
নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর সোমবার থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আজ থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকায় অথবা উপকূলের অদূরে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাতেও প্রভাব বিস্তার করেছে অশনি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, শ্রীকাকুলাম, পূর্ব গোদাবরি-সহ একাধিক এলাকায় আগামী তিন থেকে চারদিন বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে ওড়িশার খুরদা, গঞ্জাম, পুরী, কটক, ভদ্রকে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গঞ্জামের সুনাপুরের কাছে ১১ জন মৎস্যজীবীর একটি নৌকা মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়েছিল। তাদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :