বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শক্তি সঞ্চয় করে ক্রমশই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। কিন্তু এর ল্যান্ডফল কোথায় হবে সেই নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। ঝড়ের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখছে আবহবিদরা। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। কিন্তু বাংলায় ‘অশনি’-র প্রভাব কতটা? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী এলাকার ঘূর্ণাবর্ত শুক্রবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আর ঘন্টা ছয়েকের মধ্যেই নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে রবিবার গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র রূপ ধারণ করবে। ঝড়ের অভিমুখ প্রথম দিকে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে থাকলেও আগামী ১০ মে’র মধ্যে অভিমুখ পরিবর্তন করে ওড়িশা উপকূলের দিকে ধাবিত হবে। যার প্রভাব কিছুটা হলেও বঙ্গ উপকূলে পড়তে পারে।
তবে আপাতত স্বস্তির খবর দিচ্ছে মৌসম ভবন। তারা জানিয়েছে, ‘অশনি’ বাংলায় খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আগামী ১০ থেকে ১৩ মে’র মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে তৎপর হচ্ছে নবান্নও।
তবে ঝড়ের অভিমুখ যে কোনও সময় বদলাতে পারে। আপাতত নিম্নচাপের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আগামী ১০ মে’র পর মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকায় অথবা উপকূলের অদূরে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আপনার মতামত লিখুন :