শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

টিকিট কাটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাজিমাত! লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতে নিলেন অটোচালক

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০২:০০ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৮:০০ পিএম

টিকিট কাটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাজিমাত! লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতে নিলেন অটোচালক
টিকিট কাটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাজিমাত! লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতে নিলেন অটোচালক

মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তার মধ্যেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠলেন এক অটোচালক। এক রাতের মধ্যেই বদলে গেল তাঁর ললাট লিখন। কীভাবে সম্ভব হল এই আশ্চর্য বদল? আসলে ভাগ্য কখন কার সহায় হয়ে উঠবে তা কেউই বলতে পারে না! এই যুবকও শখের বশে কেটেছিলেন লটারির টিকিট। আর তাতেই বাজিমাত! লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতে নিলেন তিনি।

শনিবার লটারির টিকিট কিনেছিলেন কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা অনুপ বি নামে ওই অটোচালক। বাম্পার লটারির ওই টিকিটের নম্বর ছিল TJ750605। আর টিকিট কেনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনুপ জানতে পারেন, ২৫ কোটির পুরষ্কার মূল্য জিতেছেন তিনি। কেরালার এই অটোচালক নিয়মিত লটারির টিকিট কিনে থাকেন। এর আগেও লটারি জিতেছেন তিনি। তবে কোনও বারই বিপুল অঙ্কের অর্থ পানি অনুপ। এবার টাকার চেক হাতে পাওয়ার পর তিনি বলেন, “লটারি আমার ভাগ্য খুলে দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে ধার শোধ করব।”

একসঙ্গে বিপুল টাকা পেয়ে যাওয়ায় রীতিমতো অভিভূত তিনি। প্রসঙ্গত, শনিবারই লটারির টিকিটটি কিনেছিলেন ওই অটোচালক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যাকপট লেগে যায় তাঁর। ভবিষ্যতে আবারও লটারির টিকিট কিনবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মালেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। ওখানে হোটেলে রান্নার কাজ করতে চাই। এর জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। আগু পিছু না ভেবেই লটারির টিকিট কিনেছিলাম। বিপুল টাকা জিতে যাব এটা ভাবিনি।” তবে লটারি জেতার পর কবে তিনি মালেশিয়া যাবেন তা এখনও জানাননি অনুপ। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, মালেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা হয়তো বাতিল করতে পারেন তিনি।

এদিকে লটারিতে একবার ২৫ কোটি টাকা পেয়ে যাওয়া খুশি অনুপের স্ত্রী মায়াও। “আমরা ৩ লাখ টাকা ঋণের জন্য ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই আবেদন নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই টাকা পেয়ে যাওয়ায় ওই ঋণের আর প্রয়োজন হবে না,” প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন অনুপ পত্নী মায়া।

প্রসঙ্গত, কেরালার অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল বাম্পার লটারির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। এই লটারির মাধ্যমে কেরালা সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ৫০০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পুরষ্কার বাবদ দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। তৃতীয় পুরষ্কার প্রাপকের ঝুলিতে গিয়েছে ১ কোটি টাকা।