বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

কোমর সমান বরফ, তার মধ্যেই হাসিমুখে এগোচ্ছেন ভারতীয় জওয়ান! ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটমহলের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ১২:৫৯ পিএম

কোমর সমান বরফ, তার মধ্যেই হাসিমুখে এগোচ্ছেন ভারতীয় জওয়ান! ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটমহলের
কোমর সমান বরফ, তার মধ্যেই হাসিমুখে এগোচ্ছেন ভারতীয় জওয়ান! ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটমহলের

দেশের প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দেশের সীমান্তরক্ষায় সদাজাগ্রত থাকেন ভারতীয় সেনারা। দেশের সকল মানুষ যাতে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকেন, সেই কারণে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি বা তুষারপাত, সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে নিজেদের প্রাণ লড়িয়ে দেন সেনারা। আর সবটাই তাঁরা করেন হাসিমুখে।

সম্প্রতি সেই কথাই যেন ফের প্রমাণ হল। মেজর জেনারেল রাজু চৌহান একটি ভিডিও টুইট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় কোমর সমান বরফ জমে রয়েছে পাহাড়ের কোলে। কিন্তু সেই রাস্তা ধরেই এগিয়ে যেতে হবে জওয়ানদের। সাংঘাতিক ঠাণ্ডার মধ্যেই হেঁটে চলেছেন কয়েকজন সেনা। তার মধ্যে একজনের মুখ দেখা যাচ্ছে ভিডিওটিতে। বরফের চাঁই ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সময়েও তাঁর মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি।

বরফের কারণে বারবার চলার পথে বাধা আসছে। সামাল দিতে এক সহকর্মীকে নিজের রাইফেল দিয়ে দিলেন তিনি। মরিয়া চেষ্টা করে বরফের দেওয়াল ভেঙে ফেললেন, তারপর রাইফেল হাতে নিয়ে আবারও এগিয়ে গেলেন তিনি। প্রবল শীতেও গ্লাভস ছাড়াই কাজ করছেন ওই জওয়ান।

গোটা ঘটনায় কঠোর পরিশ্রম করতে হলেও এই জওয়ানের মুখের হাসি সকলের নজর কেড়েছে। নাম না জানা এই জওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। ভারতীয় সেনার আত্মত্যাগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে এই ভিডিও। আর এই কারণেই সেনাদের প্রতি সাধারণ মানুষের কৃতজ্ঞতারও অন্ত নেই। নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, “কত কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন কাটান এই জওয়ানরা, তা সত্বেও সবসময় তাঁদের মুখে হাসি লেগে থাকে। ভারতের জনতা তাঁদের কাছে ঋণী।” আরেকজনের মতে, “এই বীর সেনাদের জন্যই আমরা শান্তিতে ঘুমোতে পারি।”

আসলে প্রবল ঠাণ্ডা, বরফে ঢাকা দুর্গম পাহাড়ে পরিবার-পরিজন ছেড়ে পড়ে থাকতে হয় ভারতীয় সেনাদের। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শত্রুপক্ষের আক্রমণের মোকাবিলা করেন, যেন দেশের মানুষ নিরাপদে থাকেন। হাজারো সমস্যা সত্বেও নিজেদের কর্তব্যে অটল থাকেন তাঁরা। কঠিন পরিস্থিতিতেও কীভাবে তাঁরা হাসিমুখে কাজ করেন, ভাইরাল ভিডিওটি তারই প্রমাণ।