বিয়ে চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ পাত্র! নববধূ মাথায় হাত বোলাতেই হাতে এল পরচুল, তারপর?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিয়ে বাড়ি বলে কথা, তাই চারিদিকে আলোর রোশনাই, আর জাঁকজমক। কিন্ত এরই মাঝে ঘটে এক এক অদ্ভুত কাণ্ড। ভেঙে যায় বিয়েটাই। ঠিক কী ঘটেছিল?

শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে উন্নাওয়ের সফিপুরে বিয়ে করতে এসেছিলেন পঙ্কজ। পাত্রীর বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। এলাহি আয়োজন। মালাবদলের জন্য হাইড্রোলিক মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে হাজির হলেন একসময় পাত্র এবং পাত্রী। 

মঞ্চটি ঘুরছিল, তাতে চলছিল তখন মালা বদলের পালা। এদিকে, মালাবদল শেষে পাত্র এবং পাত্রী দু’জনে মঞ্চ থেকে নামতেই আচমকাই জ্ঞান হারান পাত্র পঙ্কজ। এই কাণ্ডে তখন সবাই হতবাক। স্বাভাবিক ভাবেই হুলুস্থুল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। পাত্র জ্ঞান হারাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেই পঙ্কজের নববিবাহিত স্ত্রীও।

এরপর সবাই মিলে ধরাধরি করে পাত্রকে শোয়ানো হয়। তাঁর চোখেমুখে জল দেওয়া হয়। পঙ্কজকে সুস্থ করতে যখন সকলেই ব্যস্ত। সেই সময় পাত্রীও সেখানে আসেন। তিনিও পঙ্কজের সেবা করতে শুরু করেন। মাথায় হাত বোলাতে শুরু করেন। কিন্তু এরপর যা ঘটে তাঁর জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। মাথায় হাট বোলাতে বোলাতে আচমকাই পঙ্কজের পরচুলা খুলে নববধূর হাতে চলে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই সব পাল্টে যায়। 

তাঁর স্বামীর মাথায় কিনা টাক, এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি নববধূ। চিৎকার করে বলতে শুরু করেন এবিয়ে তিনি ভেঙে দিতে চান। এর জেরে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে পাত্রপক্ষ। এমনকি পাত্রী পক্ষের তরফ থেকে প্রতারণার অভিযোগও তোলা হয়। 

তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, সম্বন্ধ করার সময় মাথায় টাকের বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছিল পাত্রের পরিবার। বিয়েবাড়িতে যখন বিষয়টি নিয়ে হুলুস্থুল চলছে, তখন সেখানে উপস্থিত অতিথিরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দু’পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু পাত্রীকে তাঁর বিয়ে না করারা সিদ্ধান্ত থেকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ে মাঝপথে ছেড়েই চলে যেতে হয় পঙ্কজকে।